অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিয়েতে পুতিনের ধুন্ধুমার নাচ!

অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারিন কেনাইজেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে কনের সঙ্গে নাচছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এএফপি
অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারিন কেনাইজেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে কনের সঙ্গে নাচছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এএফপি

অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারিন কেনাইজেলের বিয়ে। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে। তা নিয়ে নিজের দেশের ব্যাপক সমালোচনার শিকার হন কারিন। কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সব তিক্ততা যেন ভুলিয়ে দিতে চাইলেন পুতিন। নববধূকে নিয়ে নাচলেন কয়েক পাক। আর তাতেই সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, অস্ট্রিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের একটি এলাকায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে। এতে অংশ নিয়ে প্রথমেই উপহার দেন ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর নববধূর সঙ্গে শুরু করেন নাচ। বিভিন্ন পত্রপত্রিকার কল্যাণে ছড়িয়ে পড়া নাচের সেই ছবি নিয়ে এখন তুমুল আলোচনা চলছে।

এদিকে রুশ প্রেসিডেন্টকে বিয়েতে আমন্ত্রণ জানিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারিন কেনাইজেল। বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা বলছেন, পুতিনকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতির অবমাননা করা হয়েছে।

বিয়ের অনুষ্ঠানে হাস্যোজ্জ্বল কনে কারিন কেনাইজেল। ছবি: এএফপি
বিয়ের অনুষ্ঠানে হাস্যোজ্জ্বল কনে কারিন কেনাইজেল। ছবি: এএফপি

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, জার্মানি যাওয়ার পথে অস্ট্রিয়াতে যাত্রাবিরতি করেন ভ্লাদিমির পুতিন। চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে জার্মানি যাচ্ছিলেন পুতিন।

৫৩ বছর বয়সী অস্ট্রিয়ার মন্ত্রী কেনাইজেল বিয়ে করেছেন উদ্যোক্তা ওলফগাং মাইলিনাকে। বরের বয়স ৫৪ বছর। বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে স্লোভেনিয়ার সীমান্ত-সংলগ্ন একটি ছোট্ট শহরে। পুতিন অনুষ্ঠানে হাজির হন ফুলের তোড়া নিয়ে। এ সময় কিছু গায়ক অতিথিদের মনোরঞ্জনের জন্য গান গেয়ে ওঠেন।

পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, বর-কনেকে একটি আঁকা ছবি উপহার দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ছবিতে আঁকা রয়েছে গ্রামের দৃশ্য। এর সঙ্গে আরও কিছু আকর্ষণীয় জিনিস উপহার দিয়েছেন পুতিন।

দিমিত্রি পেসকভ আরও বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে ভাষণও দেন পুতিন। জার্মান ভাষায় দেওয়া সেই ভাষণে বর-কনের নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা জানান তিনি।

মন্ত্রী হলেও কারিন কেনাইজেল কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। মূলত অস্ট্রিয়ার ডানপন্থী রাজনৈতিক দল ফ্রিডম পার্টির সমর্থনে মন্ত্রিপরিষদে ঢুকেছেন কারিন।