তুরস্কে মার্কিন দূতাবাসে গুলি

তুরস্কে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস।  ছবি: এএফপি
তুরস্কে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। ছবি: এএফপি
>
  • বেশ কয়েকটি গুলির ঘটনা ঘটে
  • কেউ হতাহত হয়নি

তুরস্কে মার্কিন দূতাবাসকে লক্ষ্য করে গতকাল সোমবার ভোরে গাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি গুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। তুরস্কের পুলিশ ও মার্কিন দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে। তুরস্কে মার্কিন এক যাজকের বিচার নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে এ ঘটনা ঘটল।

একজন পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থল থেকে বলেন, দুষ্কৃতিকারীরা গতকাল ভোর পাঁচটার দিকে গাড়িতে করে গিয়ে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় দূতাবাস বন্ধ ছিল। গুলি চালিয়ে সাদা গাড়িতে করে পালিয়ে যাওয়া দুষ্কৃতিকারীদের পুলিশ খুঁজছে। চার থেকে পাঁচটি গুলির শব্দ শোনা গেছে। একটি গুলি দূতাবাসের নিরাপত্তাকর্মীদের বসার স্থানের জানালায় লাগে। ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, পুলিশ দূতাবাসের প্রবেশমুখে তল্লাশি চালিয়ে একটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।

মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ডেভিড গেইনার বলেন, ‘ভোরের দিকে মার্কিন দূতাবাসে নিরাপত্তাজনিত একটি ঘটনা ঘটেছে। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পুরো ঘটনা আমরা তদন্ত করছি।’ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দেওয়ায় তুরস্কের পুলিশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

জার্মান সাংবাদিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্য অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার অপেক্ষায় থাকা জার্মান সাংবাদিক মেসালে তলুর দেশত্যাগের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে তুরস্ক। গতকাল এক টুইটে ওই সাংবাদিক এ তথ্য জানান।

জার্মানির গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন হিসেবে আট মাস আটক থাকার পর মেসালেকে গত ডিসেম্বরে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ তাঁর দেশ ছাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তার্কিশ ভাষায় লেখা টুইটে মেসালে তলু লিখেন, ‘আমার আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে ১৬ অক্টোবর থেকে আমার বিচারকাজ শুরু হবে।’

তুরস্কের বংশোদ্ভূত আটক থাকা বেশ কয়েকজন জার্মান নাগরিকের মুক্তির জন্য দেশটি আহ্বান জানিয়েছে। জামার্নি বলছে, দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত তুরস্কের। ২০১৬ সালে তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় ৫০ হাজার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার এবং শিক্ষক, বিচারক ও সেনাসদস্যসহ দেড় লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে বরখাস্তের ঘটনার নিন্দা জানায় জার্মানি। এরপর থেকে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়।