চার লেন হবে ডাউকি-তামাবিল সীমান্ত সড়ক

তামাবিল-ডাউকি সীমান্তে বিএসএফের কর্মকর্তারা। ছবি: সংগৃহীত।
তামাবিল-ডাউকি সীমান্তে বিএসএফের কর্মকর্তারা। ছবি: সংগৃহীত।

চলতি বছরই শুরু হচ্ছে মেঘালয়ের রাজধানী শিলং থেকে ডাউকি-তামাবিল সীমান্ত পর্যন্ত চার লেনের সড়ক নির্মাণের কাজ। ৯৫ কিলোমিটার এ সড়ক নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪০০ কোটি রুপি। সড়ক তৈরি হলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বাড়বে।

সরকারি সূত্র বলছে, এ সড়ক নির্মাণকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে মেঘালয় সরকার। মুখ্যমন্ত্রী কনার্ড সাংমাও সড়কের অগ্রগতি নিয়ে নিয়মিত সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কথা বলছেন। সড়কটিকে পাঁচটি প্যাকেজে ভাগ করে কাজ হবে। জমি অধিগ্রহণে কিছুটা বাধা রয়েছে। সেই বাধা কাটাতে সচেষ্ট সরকার। পাইনুরশ্লা গ্রামে কিছু মানুষ বাধা দিচ্ছেন। এ ছাড়া বন দপ্তরেরও অনুমতির বিষয়টি এখনো ঝুলে রয়েছে। তবে খাসি পাহাড় স্বশাসিত জেলা পরিষদ ইতিমধ্যেই তাদের অনুমতি দিয়েছে।

ভারত সরকারের জাতীয় সড়ক ও পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগম সড়কটি নির্মাণে ট্রান্সিস কন্সালটেন্সিকে দায়িত্ব দিয়েছে। চলতি বছরেই ঠিকাদার সংস্থা কাজ শুরু করবে। জাপানের একটি সংস্থা প্রকল্পটির জন্য ঋণ মঞ্জুর করেছে। চলতি বছরের নভেম্বর মাস থেকেই ঋণ কার্যকর হবে। সড়কটি নির্মিত হলে পর্যটনের পাশাপাশি বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও উভয় দেশ উপকৃত হবে বলে মেঘালয় সরকারের ধারণা। সহজেই বাংলাদেশ থেকে শিলং হয়ে পণ্য পরিবহন করা যাবে। পর্যটকরাও আসতে পারবেন সড়ক পথে।

ভারতকে মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে দেওয়ার ঘোষণায় খুশি ত্রিপুরা। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। এতে ত্রিপুরার আর্থিক উন্নয়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।

জিষ্ণু দেববর্মা প্রথম আলোকে বলেন, ত্রিপুরা হয়ে উঠবে উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্যের প্রবেশদ্বার।