বরখাস্তের জের ধরে এবিসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ

মিশেল গুথ্রি, জাস্টিন মিলনে ও ম্যালকম টার্নবুল ছবি; সংগৃহীত
মিশেল গুথ্রি, জাস্টিন মিলনে ও ম্যালকম টার্নবুল ছবি; সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (এবিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিশেল গুথ্রিকে বরখাস্তের জের ধরে আজ প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জাস্টিন মিলনে পদত্যাগ করেছেন । এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া সরকারের মালিকানাধীন এ সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানটির মধ্যে দিনভর তোলপাড় হয়েছে। গতকাল গণমাধ্যমটির প্রধান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিশেল গুথ্রিকে বরখাস্ত করার ঘটনার পর আজ স্থানীয় সময় সকালে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। দেশটির সরকারের চাপের মুখে তিনি মিশেল গুথ্রিকে বরখাস্ত করেন, এমন অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে জাস্টিন এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই বলে দাবি করেছেন। আর গণমাধ্যমের ওপর সরকার ক্ষমতা প্রয়োগ করে এ কথাও অস্বীকার করেছেন দেশটির সরকার প্রধান স্কট মরিসন।

অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন দেশটির জনগণের করের টাকায় পরিচালিত একটি গণমাধ্যম। গণমাধ্যমটির যেকোনো বিষয়ে বলার স্বাধীনতা রয়েছে। তবে আইন অনুযায়ী এবিসি কখনোই কোনো রাজনৈতিক দল কর্তৃক প্রভাবিত হতে ও পক্ষপাতিত্বও করতে পারে না। এবিসির চেয়ারম্যান জাস্টিন মিলনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি মিশেলকে সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ আসা এমন দুজন সাংবাদিককে বরখাস্ত করতে বলেছিলেন যারা সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের বিভিন্ন নেতিবাচক বিষয়ে প্রতিবেদন লিখেছেন। জাস্টিন মিলনে যিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের একজন ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন, তাঁর কথার অমান্য করায় তিনি চাকরিচ্যুত করেন মিশেলকে। তবে জাস্টিন অভিযোগটি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। সরকারও এ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে।

অন্যদিকে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এক টুইট বার্তায় বলেন, এবিসি বোর্ড ও চেয়ারম্যান সঠিক কাজ করেছেন। এবিসি স্বাধীন ও পক্ষপাতহীনভাবে স্বাভাবিক সম্প্রচার পুনরায় শুরু করবে। এ জন্য অস্ট্রেলিয়ার করদাতারা এ প্রতিষ্ঠানের খরচ বহন করে।