নওয়াজের মহিষ বেচে দিলেন ইমরান

নওয়াজ শরিফের মহিষ। ছবি: এএফপি
নওয়াজ শরিফের মহিষ। ছবি: এএফপি

পাকিস্তানে ইমরান খানের সরকার দেশটির সরকারি কোষাগার সমৃদ্ধ করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এবার তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের আটটি দামি মহিষ বিক্রি করে দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

মহিষগুলো প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে রাখা হয়েছিল। এগুলো নওয়াজ ও তাঁর পরিবারের দুধের উৎস ছিল।

তবে নতুন সরকারের কথিত ব্যয় সংকোচন বা কৃচ্ছ্র সাধনপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মহিষগুলো বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান।

নির্বাচনী প্রচারে দুর্নীতিবিরোধী সংস্কারের অঙ্গীকার করে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ইমরান। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে সরকারি ব্যয় সংকোচনে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেন ইমরান। তাঁর পদক্ষেপ প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনাও কুড়িয়েছে।

সমালোচকেরা বলছেন, সরকারি ব্যয় সংকোচনের নামে ইমরান যা করছেন, তা আসলে লোক দেখানো বিষয়। ইমরান ব্যয় সংকোচনের কথা বলছেন। অথচ গত আগস্টে জানা গেল, কাজে যেতে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরত্বের পথে তিনি হেলিকপ্টার ব্যবহার করছেন।

নওয়াজের মহিষগুলো নিলাম বিক্রি করা হয়। নিলাম নওয়াজের অনেক সমর্থকও অংশ নেন।

নওয়াজ শরিফের আটটি মহিষ নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। ছবি: এএফপি
নওয়াজ শরিফের আটটি মহিষ নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। ছবি: এএফপি

নিলামে আটটি মহিষের দাম ওঠে ১৯ হাজার ডলার বা সাড়ে ২৩ লাখ পাকিস্তানি রুপির মতো। এই অর্থ সরকারি কোষাগারে যাচ্ছে।

গত ১০ দিনে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার সরকারি সম্পদ বিক্রির ঘটনা ঘটল। মহিষ বিক্রির আগে বুলেটপ্রুফ গাড়ি বিক্রি করা হয়েছিল।

হাসান লতিফ নামের এক ব্যক্তি একটি মহিষ কেনেন। তিনি বলেন, তাঁর একটি বাণিজ্যিক দুগ্ধ খামার আছে। খামারে ১০০ টির বেশি মহিষ আছে। কিন্তু ঐতিহাসিক রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে তাঁর নেতা নওয়াজের একটি মহিষ কিনেছেন তিনি। নওয়াজের সম্মানেই মহিষটি কিনছেন। সুযোগ পেলে এই মহিষটি নওয়াজকে উপহার দেবেন বলেও জানান তিনি।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা যে দাম আশা করেছিলাম, তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে মহিষগুলো। আমরা এতে খুশি।’

অবশ্য অনেকে নিলাম প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ কেউ বলছেন, ক্রেতারা ভুয়া। এত দাম হতে পারে না মহিষগুলোর।

তবে দাম বেশি পাওয়ায় সরকার খুশি।

দেশের অর্থনীতি ঠিক রাখতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে ইমরান খানের নতুন সরকারকে। নানা উপায়ে তারা খরচ কমানোর চেষ্টা করছে।