মহাষ্টমীর অঞ্জলি দিতে কলকাতায় আসছেন রাহুল

রাহুল গান্ধী। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
রাহুল গান্ধী। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ভারতের জাতীয় কংগ্রেস দলের সভাপতি রাহুল গান্ধী এবার আসন্ন দুর্গাপুজোয় কলকাতা আসছেন। তিনি পুজোর মহাষ্টমীর দিন (১৭ অক্টোবর) কলকাতার ঐতিহ্যবাহী কলেজ স্কয়ারের সর্বজনীন পুজোমণ্ডপে অঞ্জলি দেবেন এবং পুজোর প্রসাদ গ্রহণ করবেন। দিল্লিতে গতকাল বুধবার পশ্চিমবঙ্গের নবনির্বাচিত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের সঙ্গে রাহুলের কলকাতায় আসা নিয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠক শেষে কংগ্রেস সূত্রে এ কথা বলা হয়েছে।

কলকাতার কলেজ স্কয়ারের সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সভাপতি হলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন সভাপতি সোমেন মিত্র। তাই রাহুল গান্ধী এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন । জানা গেছে, রাহুলের সঙ্গে কলকাতার পুজো দেখতে আসবেন সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গৌরব গগৈও।

প্রসঙ্গত, মোদিকে এবার টেক্কা দিতে পুরোপুরি রাজনৈতিক আসরে নেমে পড়েছেন সর্বভারতীয় কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী। হিন্দুধর্ম যে একচ্ছত্র মোদির হাতে নয়, সেটাই প্রমাণ করতে এবার রাহুল গান্ধীও ভারতের রাজনৈতিক আসরে নেমে প্রমাণ করতে চাইছেন, তিনিও হিন্দু ধর্মের উপাসক। এর আগে তিনি ছুটে গিয়েছিলেন হিমালয়ের কৈলাস পর্বত ও মানস সরোবরে। পুজো দিয়েছেন সেখানে।

বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপজো। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সেই উৎসবে রাহুলেরও যোগ দেওয়ার লক্ষ্য হিন্দু ভোট টানা। মোদির হাত থেকে হিন্দু ভোট ছিনিয়ে আনা। শিবভক্ত রাহুলের লক্ষ্য আগামী বছরে অনুষ্ঠেয় ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারানো। মোদিকে হারানো। সেই লক্ষ্যে ‘নরম হিন্দুত্ব’ নিয়ে এগোচ্ছেন এখন রাহুল গান্ধী।

গত বছর গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের সময় রাহুল গান্ধী গুজরাটের ঐতিহাসিক সোমনাথ মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়েছেন। সেদিন তিনি নিজেকে একজন শিবভক্ত হিসেবে প্রচার করেছিলেন। এরপর রাহুল গান্ধী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে মন্দিরে মন্দিরে পুজো দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে চেয়েছেন তিনি হিন্দুত্বে বিশ্বাসী এবং ভগবান শিবের একজন ভক্ত।

পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ বা রাজ্য কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি হিসেবে সোমেন মিত্রকে নিয়োগ করার পর রাহুল গান্ধী গত ২৯ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ডেকেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন কমিটির নেতাদের। সেখানে গিয়েছিলেন নবনির্বাচিত সভাপতি সোমেন মিত্রসহ রাজ্যের নবনিযুক্ত অন্যান্য নেতা। সেখানেই রাহুল গান্ধী পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেসকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আরও সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়াতে নির্দেশ দেন। পশ্চিমবঙ্গের নেতারাও রাহুলের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। রাহুল গান্ধী আরও বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসকে আরও শক্তিশালী করাই তাঁর লক্ষ্য। আত্মমর্যাদা বিসর্জন দিয়ে কোনো নির্বাচনী আঁতাতে যাবে না কংগ্রেস। নির্বাচনী সমঝোতা বা জোটের ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কংগ্রেসের সিদ্ধান্তকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।