বিয়ের বাদ্যে বাদ সাধল বাদ্যযন্ত্র

প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স
প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স

ছেলে বাদ্যযন্ত্র বাজান। কনের পরিবারের দৃষ্টিতে মোটেও তা শোভন নয়। দেশের আদালতও কনের পরিবারের পক্ষে। ব্যস, আটকে গেল বিয়ে। কনে বেচারিও পছন্দের মানুষটিকে জীবনসঙ্গী করতে পারলেন না। ঘটনাটি সৌদি আরবের। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

৩৮ বছর বয়সী ওই সৌদি নারীর নাম জানা যায়নি। তিনি পেশায় একজন ব্যাংক ম্যানেজার। বিয়ের জন্য শিক্ষক পাত্রকে বেছে নেন। কিন্তু এই বিয়েতে বাদ সাধে মেয়ের পরিবার।

মেয়ের স্বজনদের মতে, বাদ্যযন্ত্র বাজানোর কারণে ছেলে এই বিয়ের জন্য ধর্মীয় দিক থেকে অযোগ্য।

বিয়েতে পরিবারের মত না পেয়ে ওই নারী আদালতের দ্বারস্থ হন। কিন্তু আইনি লড়াইয়েও হেরে যান তিনি। পরিবারের মতের পক্ষেই রায় দেন আদালত।

আদালতে ওই নারীর ভাইয়ের পেশ করা তথ্যপ্রমাণে দেখা যায়, হবু পাত্র একটি অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়েছিলেন।

ছেলের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেলকে আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি।

নিম্ন আদালতের রায় আপিল আদালতে অনুমোদন পেয়েছে। অর্থাৎ এ বিয়ে আর হচ্ছে না।

আদালত রায়ে বলেছেন, যেহেতু ছেলে বাদ্যযন্ত্র বাজান, তাই ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি কনের উপযুক্ত নন।

নারীর ভাষ্য, তাঁর পছন্দের পাত্রের ভাবমূর্তি ভালো। তিনি খুবই ধার্মিক।

পরিবার ও আদালতের সিদ্ধান্তে হতাশ হলেও এখানেই থামছেন না ওই নারী। তাঁর ভাষ্য, এ ব্যাপারে তিনি দেশের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চাইবেন। তিনি রাজকীয় আদালতে যাবেন।

সৌদি আরবের অভিভাবকত্ব ব্যবস্থায় নারীর জীবনের প্রায় সবকিছুই পরিবারের পুরুষ অভিভাবক বা স্বামী নিয়ন্ত্রণ করেন। এই নিয়ম অনুযায়ী, বিয়ে করতে হলে নারীকে তাঁর পরিবারের পুরুষ অভিভাবকের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়।