পোপকে আমন্ত্রণ জানালেন কিম

পোপ ফ্রান্সিস ও কিম জং উন
পোপ ফ্রান্সিস ও কিম জং উন

বিশ্বের ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসকে পিয়ংইয়ং সফরে আসতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং-উন। কোরিয়া উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তাঁকে এই আমন্ত্রণ জানানো হয়। আজ মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টর দাপ্তরিক বাসভবন ব্লু হাউসের মুখপাত্র কিম ইইউ-কাইওম বলেন, উত্তর কোরিয়া ও ভ্যাটিকানের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কোনো কূটনীতিক সম্পর্ক নেই। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন আগামী সপ্তাহে ইউরোপ সফরে ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কিমের আমন্ত্রণ পৌঁছে দেবেন।

কোরিয়ান উপদ্বীপে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে প্রেসিডেন্ট মুন ১৭ ও ১৮ অক্টোবর ভ্যাটিকান সফর করবেন বলে জানিয়েছেন কিম ইইউ-কাইওম। তিনি বলেন, পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে যখন তিনি (মুন) বিশেষ সাক্ষাৎ করবেন, তখন চেয়ারম্যান কিমের বাণী পৌঁছে দিয়ে পিয়ংইয়ং সফরে তাঁকে (পোপ) গভীরভাবে আমন্ত্রণ জানাবেন।

২০০০ সালের পর থেকে পোপকে উত্তর কোরিয়ার নেতার পক্ষ থেকে এটাই প্রথম আমন্ত্রণ। চলতি বছরে উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ কূটনৈতিক পদক্ষেপ দেখতে ফ্রান্সিসকে এই সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ২০১৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়া সফরে গিয়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস।

গত জুন মাসে সিঙ্গাপুরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিম জং-উন ঐতিহাসিক এক বৈঠকে মিলিত হন। ওই সময় তাঁরা কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ ছাড়া দুজনে একটি যৌথ চুক্তিপত্রে সই করেন।

বিগত কয়েক বছরে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালনার বিষয়ে চলতি বছরে এরই মধ্যে দুই কোরিয়ার মধ্যে তিনটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে উ. কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। এদিকে ওয়াশিংটনের চাওয়া অনুয়ায়ী কিম প্রশাসন নমনীয় হয়ে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে ট্রাম্প প্রশাসনও এ বিষয়ে দ্বিতীয় বৈঠকের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।