রাজকীয় সফরে হ্যারি ও মেগান দম্পতি অস্ট্রেলিয়ায়

যুক্তরাজ্যের প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল দম্পতি অস্ট্রেলিয়ায় এলে তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মানুষের ঢল নামে। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাজ্যের প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল দম্পতি অস্ট্রেলিয়ায় এলে তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মানুষের ঢল নামে। ছবি: সংগৃহীত

বিয়ের পর প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে পৌঁছেছেন যুক্তরাজ্যের প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কেল। গত মে মাসে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর এটাই এই রাজ দম্পতির প্রথম রাজকীয় সফর। ১৬ দিনের এই সফরে প্রথমেই অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ভ্রমণ করছেন ডিউক ও ডাচেস অব সাসেক্স। অবস্থান করছেন অস্ট্রেলিয়ার রানি এলিজাবেথের প্রতিনিধি এবং সিডনি হার্বার রেসিডেন্সের গভর্নর জেনারেল পিটার কসগ্রোভের সরকারি বাসভবন অ্যাডমিরালটি হাউসে।

এই সফরের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুরে সিডনির বিখ্যাত অপেরা হাউস পরিদর্শন করেছেন হ্যারি ও মেগান। এ সময় তাঁদের অভ্যর্থনা জানান নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য প্রিমিয়ার গ্ল্যাডিস বেরেজিক্লিয়ান। এই দম্পতিকে এক ঝলক দেখতে হাজারো মানুষের ঢল নামে অপেরা হাউস প্রান্তরে। প্রায় ২৬ মিনিটের এই পরিদর্শনে সাধারণ মানুষের বেশে আসা হ্যারি ও মেগান জনসাধারণের কাছে এসে তাঁদের সাক্ষাৎ দেন।

রাজ দম্পতি অপেরা হাউসে পৌঁছানোর প্রায় তিন ঘণ্টা আগ থেকেই মানুষজন সিডনির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে জমায়েত হতে শুরু করেন। হ্যারি ও মেগান বেশ আনন্দের সঙ্গেই সাড়া দেন তাঁদের। তাঁদের মধ্যে ছোট ছোট তিন সন্তান নিয়ে আসা হেইডি কারফ্যাক্স নামের এক নারীকে তাঁরা পুলিশ বেষ্টনীর ভেতর নিয়ে এসে দেখা করেন। এ সময় মেগানকে নিয়ে হেইডির ছোট মেয়ের আঁকা এক চিত্রকর্ম দেখে মুগ্ধ হন হ্যারি ও মেগান। এ ছাড়া ডেফনি ডানে নামের ৯৮ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার ইচ্ছায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে হুইলচেয়ারে করে অপেরা হাউসে নিয়ে আসেন। হ্যারি ও মেগান বৃদ্ধাকে দেখতে পেয়ে তাঁর কাছে যান এবং তাঁকে আলিঙ্গন করে বৃদ্ধার আশীর্বাদ কামনা করেন। এর আগে ২০১৫ সালে হ্যারিকে দেখতে যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন ডেফনি।

এদিকে অস্ট্রেলিয়া সফরকালে খুশির খবর আসে ডিউক ও ডাচেস অব সাসেক্স থেকে। কেনসিংটন প্যালেসের ঘোষণায় মেগানের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা নিশ্চিত করা হয়। জন্মের পর হ্যারি ও মেগান দম্পতির শিশু রাজসিংহাসনের সপ্তম উত্তরাধিকারী হবে। অস্ট্রেলিয়া সফরকালে হ্যারি ও মেগান দম্পতি টরোঙ্গা চিড়িয়াখানা ও বন্ডাই সমুদ্রসৈকতসহ আকর্ষণীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখবেন। যুক্তরাজ্যের রাজ দম্পতির বিয়ের পর অস্ট্রেলিয়ায় আসা এবারই প্রথম নয়। ১৯৮৩ সালে প্রিন্স হ্যারির বাবা প্রিন্স চার্লস ও মা প্রিন্সেস ডায়না বিয়ের পর প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফরে এসেছিলেন। এ ছাড়া ২০১৪ সালে হ্যারির ভাই প্রিন্স উইলিয়াম ও তাঁর স্ত্রী ডাচেস অব কেমব্রিজ কেট মিডলটনও বিয়ের পর রাষ্ট্রীয় সফরে অস্ট্রেলিয়া সফরে এসেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার সফর শেষে হ্যারি ও মেগান দম্পতি ফিজি ও টোঙ্গায় কয়েক দিন কাটিয়ে চার দিনের সফরে যাবেন নিউজিল্যান্ড।