রামমন্দির নির্মাণে দুমুখো নীতি বিজেপির

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাবেক সভাপতি প্রবীণ তোগাড়িয়া। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাবেক সভাপতি প্রবীণ তোগাড়িয়া। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

ভারতে ‘হিন্দু সরকার’ গড়ার ডাক দিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাবেক সভাপতি প্রবীণ তোগাড়িয়া। গতকাল মঙ্গলবার অযোধ্যায় রাম জন্মভূমি আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা সদ্য প্রয়াত রামচন্দ্র পরমহংসের সমাধির সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এই ডাক দেন। তিনি অভিযোগ করেন, চার বছর ক্ষমতায় থেকেও বিজেপি রামমন্দির নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। দলটি এ মন্দির নির্মাণে দুমুখো নীতি নিয়েছে।

প্রবীণ তোগাড়িয়া কট্টরপন্থী হিন্দু নেতা। গতকালের সমাবেশে তিনি বলেন, অযোধ্যায় রামমন্দির না হলে ভোট নয়। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে আরও বলেন, পরবর্তী সরকার হবে হিন্দু সরকার, যে সরকার শপথ গ্রহণের পরপরই মন্দির নির্মাণের নিশ্চয়তা দেবে। পাশাপাশি সেই সরকার যুবকদের চাকরি, কৃষকদের ঋণ মওকুফসহ উন্নয়নের দিকনির্দেশনা দেবে।

প্রবীণ তোগাড়িয়া গত মাসেই অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণে সংসদে প্রয়োজনীয় আইন তৈরির দাবি তুলেছিলেন। গতকাল তিনি এ কথাও বলেন, রামমন্দির ইস্যুকে সামনে রেখে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। অথচ ক্ষমতায় থাকার চার বছর কেটে গেলেও রামমন্দির নির্মাণে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিজেপি। এখন বিজেপি এই মন্দির ইস্যুতে দুমুখো নীতি নিয়েছে। তাই এখন এই বিজেপি সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই, যদি না তারা রামমন্দির তৈরি করে। তাই বিজেপির এখন প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত রামমন্দির নির্মাণের।

প্রবীণ তোগাড়িয়া গত এপ্রিল মাসে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ত্যাগ করেন। এরপর তিনি গঠন করেন ‘আন্তরাষ্ট্রীয় হিন্দু পরিষদ’ নামের একটি দল। সেই দল আগামী বছরে অনুষ্ঠেয় লোকসভা নির্বাচনে লড়বে বলে গতকাল জানিয়ে দেন প্রবীণ তোগাড়িয়া। বলেছেন, তিনি এখন দল বদল করেছেন ঠিকই; তবে নিজের আদর্শ বদলাননি। তিনি তাঁর তৈরি দলের সভাপতিও।

গতকাল প্রবীণ তোগাড়িয়া বলেন, রামমন্দির নিয়ে বিজেপির দ্বিচারিতা নিয়ে তিনি আসরে নামবেন। তাঁর অভিযোগ, রামমন্দির ইস্যুতে বিজেপি ছেলেখেলা খেলছে। রামমন্দিরকে যথাযথ সম্মান দেখাচ্ছে না। তাই তাঁর লড়াই হবে রামমন্দির প্রতিষ্ঠার। তাঁর দল এই ইস্যু নিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে নামবে সামনের লোকসভা নির্বাচনে।

ভারত একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। ভারতের মানুষও অসাম্প্রদায়িক চিন্তাচেতনা লালন করে আসছে। ভারতের সংবিধানও সেভাবে তৈরি হয়েছে। ভারত এখনো গোটা বিশ্বে পরিচিত একটি অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে।