মুখ খুললেন যুবরাজ সালমান

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান

খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এই হত্যাকাণ্ডকে ‘জঘন্য অপরাধ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। যদিও এই হত্যাকাণ্ডে তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিতব্য ‘বিনিয়োগ সম্মেলনে’ এক প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে যুবরাজ গতকাল বুধবার এ কথা বলেন। এই প্রথম সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন যুবরাজ সালমান।

নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যানেল আলোচনায় সৌদি যুবরাজ বলেন, ‘খাসোগি হত্যাকাণ্ড সকল সৌদি নাগরিকের জন্য বেদনাদায়ক। আমি বিশ্বাস করি, এই হত্যাকাণ্ড বিশ্বের প্রতিটি মানুষের কাছে বেদনাদায়ক। এটা জঘন্য এক অপরাধ, এই অপরাধকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না।’

সৌদি আরব ও তুরস্ক এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন যুবরাজ সালমান। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে তুরস্ক ও সৌদি আরবের সম্পর্কের অবনতির প্রসঙ্গে যুবরাজ বলেন, ‘সম্পর্কের অবনতি হবে না। আমরা দুই দেশের সরকার পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে খাসোগি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করে বিশ্বের সামনে সেটা প্রমাণ করে দেব।’

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে ২ অক্টোবর ব্যক্তিগত কাগজপত্র আনার প্রয়োজনে ঢুকেছিলেন খাসোগি। শুরু থেকে তুরস্ক দাবি করে আসছে, খাসোগিকে কনস্যুলেট ভবনের ভেতর সৌদি চরেরা হত্যা করেছে। গত বছর সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতা গ্রহণের পর রোষানলে পড়েন খাসোগি। তিনি দেশ ছেড়ে স্বেচ্ছা নির্বাসনে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়াশিংটন পোস্ট-এ যুবরাজের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে একের পর এক কলাম লেখেন। অভিযোগ উঠেছে, যুবরাজের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এ হত্যা সংঘটিত হয়েছে। শুরুতে সৌদি আরব জোর দাবি করে বলছিল, খাসোগি তাঁর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে কনস্যুলেট থেকে বেরিয়ে গেছেন। পরে স্বীকার করে, খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছে।