ভারতের ৭ রাজ্যে অমুসলিম সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দিতে চিঠি

ভারত সরকার এবার ভারতের রাজ্যে প্রতিবেশী দেশ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা অমুসলিম নাগরিকদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য নির্শেশিকা জারি করেছে। এই নির্দেশিকার আওতায় আনা হয়েছে ভারতের ৭ রাজ্যের ১৬টি জেলাকে। ওই সব জেলার জেলা প্রশাসককে সেই সব জেলায় আসা প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের নাগরিত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ওই সব রাজ্যের বাকি জেলায় উদ্বাস্তুরা থাকলে তারা আবেদন করতে পারবে সংশ্লিস্ট রাজ্যের মুখ্যসচিবদের কাছে।

২০১৪ সালের আগে যারা নির্যাতিত হয়ে বা প্রাণের ভয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের এই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। নাগরিকত্ব দেওয়ার তালিকায় রয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ। বিশেষ করে ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা সংখ্যালঘুরা এই সুযোগ পাবে। আর তালিকাভুক্ত ৭টি রাজ্য হলো গুজরাট, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ ও দিল্লি। তবে এই তালিকায় রাখা হয়নি পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসামকে। যদিও ভারতের এই তিনটি রাজ্যে সর্বাধিক উদ্বাস্তু এসেছে বাংলাদেশ থেকে।
তালিকায় যে ১৬টি জেলার নাম উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো ছত্তিশগড়ের রায়পুর, গুজরাটের আহমেদাবাদ, গান্ধীনগর ও কচ্ছ, মধ্যপ্রদেশের ভোপাল ও ইন্দোর, মহারাষ্ট্রের নাগপুর, মুম্বাই, পুণে এবং থানে, রাজস্থানের জয়পুর, যোধপুর ও জয়সলমির, উত্তর প্রদেশের লখনউ এবং দিল্লির দক্ষিণ ও পশ্চিম জেলা।
নির্দেশে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের আগে ওই দেশগুলো থেকে যদি কেউ এসে ভারতে প্রবেশ করেন, তবে সে ক্ষেত্রে তিনি ভারতের নাগরিকত্ব লাভের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ওই ৭টি রাজ্যের ১৬ জেলার জেলা প্রশাসকের কাছে এ–সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। আরও বলা হয়েছে, ওই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় যদি ওই সব দেশের উদ্বাস্তুরা থেকে থাকে, তবে তারা ওই সব রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছে এ–সংক্রান্ত আবেদন করতে পারে। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ১৯৫৫ সালের ভারতের নাগরিকত্ব আইনের ৫ এবং ৬ ধারার আওতায় সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক এবং মুখ্যসচিব আবেদনকারীদের নাগরিকত্ব প্রদান করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সরকার ২৫ অক্টোবর জারি করে এই নির্দেশিকা।
এদিকে এই নির্দেশিকা জারির পর কংগ্রেস মুখপাত্র জয়বীর শেরগিল বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে এই নির্দেশিকা জারি নির্বাচনের আচরণবিধির লঙ্ঘন। হিন্দু ও শিখ ভোট পেতে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত।