কলকাতায় বাংলাদেশ উন্নয়ন মেলা, সেমিনার

কলকাতায় বাংলাদেশ উন্নয়ন মেলায় ‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জী
কলকাতায় বাংলাদেশ উন্নয়ন মেলায় ‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জী

কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে গতকাল শনিবার উদ্‌যাপিত হলো বাংলাদেশের চতুর্থ উন্নয়ন মেলা। কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশন আয়োজন করে এই মেলার।

এই মেলায় গতকাল বিকেলে উপহাইকমিশন চত্বরে আয়োজন করা হয় ‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারের। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ ও অপ্রচলিত শক্তিসম্পদমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক সুগত মারজিত, বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়, ভারত চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সীতারাম শর্মা প্রমুখ।

আলোচকেরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০ বছরের উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন। বলেন, বাংলাদেশে এখন দ্রুত উন্নয়ন হচ্ছে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের তকমা পেতে চলেছে। বাংলাদেশ এখন শিল্পক্ষেত্রেও এগিয়ে চলেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সামনে রেখে অপ্রতিরোধ্য গতিতে চলছে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন। বেড়েছে বাংলাদেশের পণ্যের রপ্তানি।

বাংলাদেশ উন্নয়ন মেলার স্টল ঘুরে দেখছেন পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ ও অপ্রচলিত শক্তিসম্পদমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (নীল পাঞ্জাবি পরিহিত)। ছবি: ভাস্কর মুখার্জী
বাংলাদেশ উন্নয়ন মেলার স্টল ঘুরে দেখছেন পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ ও অপ্রচলিত শক্তিসম্পদমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (নীল পাঞ্জাবি পরিহিত)। ছবি: ভাস্কর মুখার্জী

মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘যে সরকার মানুষের প্রতি ভালোবাসা প্রমাণ করেছে, যোগ্যতা প্রমাণ করেছে, দায়িত্ববোধ প্রমাণ করেছে, উন্নয়নের শিখরে নিয়ে গেছে, সেই সরকার চাইব আমরা।’

আলোচনার শুরুতে ও শেষে প্রদর্শন করা হয় বাংলাদেশের উন্নয়নের তথ্যচিত্র। এসব তথ্যচিত্রে উঠে আসে বাংলাদেশের উন্নয়নের খণ্ডচিত্র। শেষ পর্বে ছিল সংগীতানুষ্ঠান। এতে অংশ নেন কলকাতা ও ঢাকার শিল্পীরা। এঁদের মধ্যে ছিলেন সৈকত মিত্র, নুরজাহান আলিম ও মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।