জাপান সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে তিন দিনের চীন সফর শেষে দেশে ফিরে আসার ঠিক পরপরই তাঁর দেশে এলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

স্থানীয় সময় গত শনিবার সন্ধ্যায় মোদি টোকিও এসে পৌঁছান। আজ সোমবার ও কাল মঙ্গলবার জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক আলোচনায় মিলিত হওয়ার কথা। এর আগে রোববার মোদিকে টোকিওর পার্শ্ববর্তী ইয়ামানাশি জেলায় নিজের অবকাশকালীন বাসভবনে আমন্ত্রণ জানিয়ে মধ্যাহ্নভোজে আপ্যায়িত করেন আবে।

জাপানের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে জাপানি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদি বলেছেন, তাঁর এই সফরে দুই দেশের চলমান সহযোগিতা পর্যালোচনা করা হবে। এ ছাড়া ‘ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর’ ও তার বাইরে শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি এগিয়ে নিতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণের উপায় নিয়ে এই সফর আলোচনার সুযোগ করে দেবে।

জাপানের সংবাদমাধ্যম ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা কথিত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের ধারণা নিয়ে দুই দেশের নেতাদের মধ্যকার আলোচনার ওপর দৃষ্টি রাখছেন। কারণ, চীন সফরে জাপানের নেতা এ প্রসঙ্গটি এড়িয়ে গেছেন।

চীন মনে করে, মূলত বেইজিংকে কোণঠাসা করে রাখার উদ্দেশ্য নিয়েই জাপান নতুন এই সংজ্ঞা উপস্থাপন করেছে। ভারত অবশ্য ধারণাটিকে লুফে নেয়। এটাকে আরও এগিয়ে নেওয়ার সুযোগের অপেক্ষায় থাকে নয়াদিল্লি।

বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করছেন, চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগে’ জাপানের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিয়েও দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হতে পারে।

চীন সফরকালে বেইজিংয়ের অনুরোধে সাড়া দিয়ে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগে অংশ নেওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করে জাপান। ভারত অবশ্য এ উদ্যোগকে দেখছে চীনের সম্প্রসারণবাদী নীতির একটি মুখ্য উপাদান হিসেবে। ফলে এ ব্যাপারে জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে কোনো উপদেশ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী দেন কি না, সেদিকেও সংবাদমাধ্যমের নজর থাকছে।

ফুজি পাহাড়ের পাদদেশে মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত পরিবেশে মধ্যাহ্নভোজনে মিলিত হয়ে ভারত ও জাপানের নেতারা উত্তর কোরিয়াসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।