ছিটমহলবাসীর জমির অধিকার দিতে মমতার নির্দেশ

কোচবিহারের ছিটমহল। ফাইল ছবি।
কোচবিহারের ছিটমহল। ফাইল ছবি।

পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার বিভিন্ন শিবিরে অবস্থানকারী সাবেক ছিটমহলবাসীর জমির অধিকার দিতে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কোচবিহার প্রশাসনকে ভর্ৎসনা করে দ্রুত ছিটমহলবাসীর নানা অভিযোগ নিষ্পত্তি করার আদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিন দিনের মধ্যে অধ্যাদেশ জারি করে তাঁদের জমির অধিকার দিতে ভূমি মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার আদেশ দেন।

২৯ অক্টোবর কোচবিহারে প্রশাসনিক বৈঠক শেষে মমতা এ ঘোষণা দেন।

মমতা বলেন, রাজ্য সরকারই ছিটমহলের উন্নয়নে সার্বিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। কেন্দ্রীয় সরকার তাদের প্রতিশ্রুতিমতো অর্থ দেয়নি। এ ব্যাপারে চিঠি লিখবেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। রাজ্য সরকারের আর্থিক সহায়তায় উন্নয়নের কাজ চলছে।

২০১৫ সালের ৩১ জুলাই ভারত ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ১৬২টি সাবেক ছিটমহল বিনিময় হয়েছিল। ছিটমহলের মধ্যে ভারতের ভূখণ্ডে ছিল বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল। বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ছিল ভারতের ১১১টি ছিটমহল।

ছিটমহল বিনিময়ের পর বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ১১১টি ভারতীয় ছিটমহলের ৯২১ জন বাসিন্দা ২২ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে কোচবিহার জেলায় ফিরে আসেন।

ছিটমহলবাসী অভিযোগ তুলেছে, যে স্বপ্ন দেখিয়ে তাঁদের ভারতে আনা হয়েছিল, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি। তাঁদের পুনর্বাসনের জন্য যেসব সামাজিক ও আর্থিক প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছিল, তা বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে, তাঁদের মধ্যে ক্ষোভ এখনো রয়ে গেছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিটমহলবাসীর পাশে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁদের দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রয়োজনে জমি-অধ্যাদেশ জারি করে ছিটমহলবাসীর জমির অধিকার দিতে হবে। সার্বিক সমস্যা সমাধানের জন্য সময় দেন ১৫ দিন।