আসামে বাঙালি হত্যায় পশ্চিমবঙ্গে প্রতিবাদের ঝড়

আসামে বাঙালি হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: রয়টার্স
আসামে বাঙালি হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: রয়টার্স

ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঁচ বাঙালিকে হত্যার রেশ পশ্চিমবঙ্গেও পড়েছে। আসামের মতো পশ্চিমবঙ্গেও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।

গতকাল রাতে আসামের তিনসুকিয়া জেলার ধলা এলাকার খেরবাড়ি গ্রামে একটি চায়ের দোকানের সামনে থেকে ৭ বাঙালিকে অপহরণ করা হয়। পরে ব্রহ্মপুত্র নদীর চরে লাইন ধরে দাঁড় করিয়ে তাঁদের গুলি করা হয়। এতে ঘটনাস্থলে পাঁচজন নিহত হন। গুরুতর আহত হন দুজন।

আসামের জঙ্গি সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব অসম (ইনডিপেনডেন্ট) এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।

আসামে এই ঘটনা যখন ঘটে, তখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে শিলিগুড়িতে অবস্থান করছিলেন। খবর শুনে তিনি প্রচণ্ড খেপে যান।

এক টুইট বার্তায় মমতা বলেন, ‘তিনসুকিয়ার নৃশংস হামলার নিন্দা করছি। এটা কি নাগরিক পঞ্জির ফল? নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর ভাষা নেই। দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’

হত্যার প্রতিবাদে আসামের বাঙালিরা আজ শুক্রবার ১২ ঘণ্টার হরতাল পালন করছে। একই ঘটনার প্রতিবাদে আজ পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে প্রতিবাদী মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বেলা ২টায় কলকাতার মৌলালি মোড় ও হাজরা মোড় থেকে দুটি পৃথক প্রতিবাদ মিছিল বের হবে। মিছিল যাবে কলকাতার ধর্মতলার গান্ধীমূর্তি পাদদেশে। সেখানে অনুষ্ঠিত হবে প্রতিবাদ সমাবেশ।

বেশ কিছু দিন ধরেই আসাম অশান্ত। সেখানে বাঙালিবিরোধী আন্দোলন চলছে। জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন বা এনআরসির জেরে আসাম থেকে বিতাড়নের মুখে ৪০ লাখ বাঙালি। এই বাঙালিদের আসাম থেকে বিতাড়নের জন্য বিভিন্ন অসমিয়া আঞ্চলিক জঙ্গি সংগঠন মাঠে নেমে পড়েছে।