অযোধ্যার রাম মন্দির ইস্যুতে আন্দোলনের হুমকি আরএসএসের

অযোধ্যা মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস) ১৯৯২ সালের মতো আন্দোলন শুরু করার হুমকি দিল। ফাইল ছবি: রয়টার্স
অযোধ্যা মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস) ১৯৯২ সালের মতো আন্দোলন শুরু করার হুমকি দিল। ফাইল ছবি: রয়টার্স

অযোধ্যা মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস) ১৯৯২ সালের মতো আন্দোলন শুরু করার হুমকি দিল। আজ শুক্রবার মুম্বাইয়ের কাছে থানেতে সংঘের এক অনুষ্ঠান শেষে এই হুমকি দেন সংঘের সাধারণ সম্পাদক সুরেশ ভাইয়াজি যোশী। তিনি বলেন, মন্দির তৈরির ব্যাপারে হিন্দুদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে।

অযোধ্যা মামলা সুপ্রিম কোর্টের বিবেচনাধীন। গত মাসের শেষ দিকে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেন, মামলাটি জানুয়ারি মাসের আগে তাঁদের পক্ষে শোনা সম্ভব নয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ এই মন্তব্যও করেছিলেন যে, এই মামলাটি তাঁদের অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে না। আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাঁদের বিবেচনায় রয়েছে। বিজেপির অনেকেই সর্বোচ্চ আদালতের ওই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। শুক্রবার করল আরএসএস।

মামলা পেছানোর সিদ্ধান্তকে ‘টালবাহানা’ মন্তব্য করে সুরেশ যোশী বলেন, ‘আমরা এই দীপাবলিতেই শুভ সংবাদের আশা করেছিলাম। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতের টালবাহানায় তা পিছিয়ে গেল। রাম মন্দির তৈরির বিষয়টি তাঁদের অগ্রাধিকারে নেই জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কোটি কোটি হিন্দু মনকে আহত করেছেন। তাঁদের অপমানিত করেছেন। কোটি কোটি হিন্দুর ভাবাবেগ শীর্ষ আদালতের কাছে অগ্রাধিকার পায় না, এটা বিস্ময়ের।’

অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধূলিসাৎ হয় ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর। আরএসএস ও বিজেপি একযোগে সেই আন্দোলন শুরু করেছিল। লালকৃষ্ণ আদভানি গোটা দেশে ‘রথযাত্রা’ বের করেছিলেন। মসজিদ ভেঙে মন্দির তৈরির আন্দোলনে প্রাণ গেছে বহু মানুষের। আরএসএস সেই ধরনের আন্দোলন ফের শুরু করার কথা জানিয়ে স্পষ্টতই সুপ্রিম কোর্টকে চাপের মুখে রাখতে চাইছে। বিরোধীরা মনে করছে, ভোট মৌসুমে হিন্দুত্বকে চাঙা করে রাজনৈতিক মেরুকরণের অপচেষ্টা চলছে।

বিজেপি ও আরএসএস চায় অযোধ্যায় সাধারণ নির্বাচনের আগে রাম মন্দির গড়ার কাজে হাত দিতে। কিন্তু তার আগে জমির মালিকানা চূড়ান্ত হওয়া প্রয়োজন। সুপ্রিম কোর্টের বিবেচ্য সেটাই। ভোটের আগে সুপ্রিম কোর্টের রায় না এলে প্রয়োজনে অরডিন্যান্স জারির কথা ভাবা হচ্ছে। সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সুরেশ যোশী বলেন, সরকারকেই সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।