আসামে বাঙালি হত্যা: প্রতিবাদে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ

ভারতের আসাম রাজ্যে পাঁচজন বাঙালিকে হত্যার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে শুক্রবার রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ মিছিল, বিক্ষোভ ও সমাবেশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আসাম সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর দাবি জানানো হয়।

দক্ষিণ কলকাতায় বেলা দুইটার দিকে এইট-বি বাসস্ট্যান্ড থেকে এক প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিল শেষ হয় দক্ষিণ কলকাতার হাজরা মোড়ে। বিক্ষোভকারীরা পতাকা হাতে নিয়ে, বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করে ও মুখে কালো কাপড় বেঁধে মিছিলে শামিল হন। মিছিল শেষে হাজরা মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমসহ অন্যরা।

তাঁরা অবিলম্বে আসামে বাঙালির ওপর অত্যাচার বন্ধের দাবি জানিয়ে আসামের বিজেপি সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন। তাঁরা বলেন, আসামে আজ বিজেপি সরকার সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করেছে। নাগরিকপঞ্জির নামে ৪০ লাখ বাঙালিকে রাজ্য থেকে বিতাড়ণের উদ্যোগ নিয়েছে। এটা মানা যায় না। এর বিরুদ্ধে সারা বাংলার মানুষ একজোট হয়েছে। এটা আসামের বাঙালিদের ঐতিহ্য রক্ষার লড়াই। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসামে প্রখ্যাত বলিউড শিল্পী বাঙালি শানের হেনস্তা হওয়ার ঘটনারও নিন্দা জানান। পাঁচ বাঙালি হত্যার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আসামের মুখ্যমন্ত্রীর এখন পদত্যাগ করা উচিত।

এদিকে বিকেলে গিরিশ পার্কে কালীপূজার উদ্বোধন করতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দেশজুড়ে আসামের ঘটনা এক অশুভ সংকেত বহন করছে। আসামের তিনসুকিয়ায় নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে পাঁচজন নিরীহ ও গরিব মানুষকে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘটনা আমাদের জন্য এক অশুভ সংকেত দিচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।’

প্রসঙ্গত, আসাম রাজ্যের তিনসুকিয়া জেলার ধলা এলাকার খেরবাড়িয়া গ্রামে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পাঁচ বাঙালিকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। হত্যার প্রতিবাদে বাঙালিরা শুক্রবার ১২ ঘণ্টার হরতাল পালন করেছে।