বাংলাদেশ থেকে ২৫০০ নারী কর্মী এসেছেন

কাতারে চলতি বছরের ১০ মাসে বাংলাদেশ থেকে নারী কর্মী এসেছেন আড়াই হাজারের বেশি। এঁদের অধিকাংশ গৃহকর্মী হিসেবে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কর্মরত আছেন। বর্তমানে কাতারে কর্মরত নারী গৃহকর্মীর সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। পাশাপাশি বেশ কিছু নারী কর্মী কাতারে সেলুন ও হাসপাতালে নার্স হিসেবেও কর্মরত রয়েছেন।
বিমইটির হিসেবে দেখা গেছে, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে ২৮৯ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ২৬৯ জন, মার্চে ৩১৪ জন, এপ্রিলে ৪২০ জন, মে মাসে ৩৭৭ জন, জুনে ১৭৪ জন, জুলাইয়ে ২০৫ জন, আগস্টে ২১২ জন এবং সেপ্টেম্বরে ২২০ জন নারী কর্মী কাতারে এসেছেন। এই নয় মাসে আসা নারী কর্মীর সংখ্যা দুই হাজার ৪৮০ জন।
তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোর তুলনায় কাতারে আসা নারী কর্মীদের সংখ্যা অনেক কমেছে। ২০১৭ সালে কাতারে এসেছিলেন তিন হাজার ২০৯ জন নারী কর্মী। ২০১৬ সালে এসেছিলেন পাঁচ হাজার ৩৮১ জন নারী কর্মী।
বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর ড. সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কাতারে বাংলাদেশি নারী গৃহকর্মীদের চাহিদা এখনো রয়েছে এবং নারী গৃহকর্মীদের সার্বিক পরিস্থিতি অনেক ভালো রয়েছে।
চলতি বছর উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নারী কর্মী গেছেন সৌদি আরবে। দেশটিতে চলতি বছর প্রথম নয় মাসে ৫৩ হাজার ৬০৯ জন নারী কর্মী গেছেন। এর পরের অবস্থানে রয়েছে ওমান। সেখানে গেছেন সাত হাজার ৭৮৯ জন নারী কর্মী। আর অন্যান্য দেশের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এক হাজার ৬৭২ জন, কুয়েতে ১১৫ জন ও বাহরাইনে ৫ জন নারী কর্মী গেছেন।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে লেবানন ও জর্ডানে নারী কর্মীদের যাওয়া অব্যাহত রয়েছে। চলতি বছর প্রথম নয় মাসে লেবাননে গেছেন এক হাজার ৩৬ জন এবং জর্ডানে গেছেন পাঁচ হাজার ৬৭৯ জন।
কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম শাখার কাউন্সেলর রবিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কাতার আয়তনে ছোট দেশ এবং সীমিত জনসংখ্যা হওয়ায় গৃহকর্মীদের আসার হার কিছুটা কমেছে। কারণ যেসব পরিবারে গৃহকর্মী এসেছেন, তারা তো সেখানে আসার পর থেকে কর্মরত রয়েছেন। নতুন পরিবারের সংখ্যা যেহেতু দ্রুত বাড়ে না, ফলে এটি খুবই স্বাভাবিক বিষয়।
রবিউল ইসলাম আরও বলেন, আগের তুলনায় গৃহকর্মীদের পালিয়ে যাওয়ার হার অনেক কমেছে। পাশাপাশি গৃহকর্মীদের ব্যাপারে দূতাবাসের প্রত্যক্ষ নজরদারি বেড়েছে। ফলে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে কাতারে বাংলাদেশি নারী কর্মীরা অনেক ভালো ও নিরাপদে রয়েছেন।