ফেসবুকের তথ্য বিক্রির বিজ্ঞাপন!

বিবিসি পাঁচজন ব্যবহারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে বার্তা চুরির প্রমাণ পেয়েছে। ছবি: বিবিসি
বিবিসি পাঁচজন ব্যবহারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে বার্তা চুরির প্রমাণ পেয়েছে। ছবি: বিবিসি

ফেসবুকের ৮১ হাজার ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি করে সেগুলো বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছেন হ্যাকাররা। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানা গেছে। হ্যাকাররা প্রতিটি অ্যাকাউন্ট ১০ সেন্টের বিনিময়ে বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছেন।

বিবিসি রাশিয়া সার্ভিসকে হ্যাকাররা জানিয়েছেন, মোট ১২ কোটি গ্রাহকের বিস্তারিত তথ্য তাঁদের কাছে রয়েছে। এগুলো বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা। তবে হ্যাকারদের ব্যাপারটি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, গ্রাহকদের তথ্য নিরাপত্তার ব্যাপারে তারা আপস করে না। গ্রাহকদের কোনো তথ্য চুরি হয়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি জানিয়েছে, হয়তো ত্রুটিপূর্ণ ব্রাউজারের মাধ্যমে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আর কোনো অ্যাকাউন্ট যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।

বিবিসি জানতে পেরেছে, মূলত রাশিয়া ও ইউক্রেনের গ্রাহকদের তথ্যই হ্যাক করা হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও অন্যান্য অঞ্চলের কিছু ব্যবহারকারীর তথ্যও হ্যাকের তালিকায় রয়েছে।

ফেসবুকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গাই রোজেন বলেন, ‘ফেসবুক গ্রাহকদের তথ্য যেন অন্য কোনো ওয়েবসাইটে না থাকে, সে জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা কাজ করছি। আমরা ব্রাউজার নির্মাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এখন থেকে তাদের স্টোরে ত্রুটিপূর্ণ কোনো ব্রাউজার থাকবে না।’

৮১ হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি করে বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছেন হ্যাকাররা। ছবি: এএফপি
৮১ হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি করে বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছেন হ্যাকাররা। ছবি: এএফপি

এ বছরের সেপ্টেম্বরে এফবিসেলার নামের একজন ব্যবহারকারী ইংরেজিতে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেন। ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ইন্টারনেট ফোরামে বিজ্ঞাপনটি দেওয়া হয়েছিল। তিনি লেখেন, ‘আমরা ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রয় করি। আমাদের কাছে ১২ কোটি গ্রাহকের বিস্তারিত তথ্য আছে।’ অবশ্য পরে ওই বিজ্ঞাপন সরিয়ে নেওয়া হয়।

সাইবার নিরাপত্তা কোম্পানি ডিজিটাল শ্যাডোজ জানায়, ৮১ হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি করে বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপনটি তারা নিরীক্ষা করে দেখেছে। ১ লাখ ৭৬ হাজার অ্যাকাউন্টের ফোন নম্বর ও ই-মেইল অ্যাড্রেস দেওয়া আছে। ব্যবহারকারীরা এগুলো প্রকাশ্যে রেখেছেন বলে তা সংগ্রহ করা সহজ।

বিবিসি কয়েকজন ব্যবহারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই বার্তা তাঁদের বলেই প্রমাণ পেয়েছে।