নিহত ৫ বাঙালির পরিবারকে মমতার আর্থিক সহায়তা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আসামের তিনসুকিয়ায় পাঁচ বাঙালি হত্যার প্রতিবাদে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিদল। গতকাল রোববার সকালে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের তিন সাংসদ ও একজন বিধায়ককে নিয়ে গঠিত চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থলে যায়। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বে এই প্রতিনিধিদলে ছিলেন নাদিমুল হক, মমতাবালা ঠাকুর ও বিধায়ক মহুয়া মৈত্র।

তাঁরা গ্রামে গিয়ে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের তাঁরা জানান, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের সঙ্গে আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রতিটি পরিবারকে এক লাখ রুপি করে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন।

প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সাক্ষাৎ করানোর উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেস রাষ্ট্রপতির কাছে সময় চেয়েছে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে তারা হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।

এর আগে প্রতিনিধিদলের আগমন উপলক্ষে আসাম সরকার জানায়, পশ্চিমবঙ্গের সাংসদদের আসামে ঢুকতে কোনো বাধা দেবে না তারা। এর আগে গত আগস্টে আসামে জাতীয় নাগরিক নিবন্ধনের (এনআরসি) খসড়া তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর বাদ যায় সেই রাজ্যের ৪০ লাখ বাঙালির নাম। প্রতিবাদে গর্জে ওঠে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। সেদিনও কলকাতা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আসামের শিলচরে যায় ওখানের একটি নাগরিক কনভেনশনে যোগ দিতে। কিন্তু শিলচরে পৌঁছার পর এই প্রতিনিধিদলকে কার্যত আটকে রাখে আসাম পুলিশ। তাদের বিমানবন্দর থেকে বাইরে বের হতে দেয়নি পুলিশ। এই প্রতিনিধিদলে ছিলেন তৃণমূলের ছয় সাংসদ, এক বিধায়ক এবং এক মন্ত্রী। কিন্তু এবার আসাম সরকার জানিয়ে দেয়, এবার আর তাদের তিনসুকিয়ায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হবে না।