রাফাল-সংক্রান্ত তথ্য জমা দিল কেন্দ্র

রাফাল যুদ্ধবিমান। ফাইল ছবি
রাফাল যুদ্ধবিমান। ফাইল ছবি

রাফাল যুদ্ধবিমান কেনাবেচার পদ্ধতিগত বিষয় এবং দামসংক্রান্ত তথ্য সুপ্রিম কোর্টে জমা দিল কেন্দ্র। কেন্দ্রকে এই তথ্যাদি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী বুধবার।

ফ্রান্সের কাছ থেকে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনাবেচায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে উঠেছে এই অভিযোগও যে চুক্তির বাস্তবায়ন হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খেয়াল-খুশিমতো। পদ্ধতি মানা হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পদ্ধতিগত বিষয়ে পেশ করা হলফনামায় কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ২০১৩ সালে এই বিষয়ে যে পদ্ধতি স্থির হয়েছিল, এই চুক্তির ক্ষেত্রেও তা মানা হয়েছে।

পদ্ধতিগত বিষয়ের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে বলেছিলেন, বিমান কিনতে কত খরচ হয়েছে, তা যেন মুখবন্ধ খামে জমা দেওয়া হয়। কেন্দ্র জানিয়েছিল, চুক্তির গোপনীয়তার ধারা অনুযায়ী সেই তথ্য জানানো সম্ভব নয়। সুপ্রিম কোর্ট তখন বলেছিলেন, তা হলে সেই কথাই হলফনামায় বলা হোক। সংবাদ সংস্থা এএনআই সোমবার জানায়, অর্থসংক্রান্ত তথ্যও মুখবন্ধ খামে কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে জমা দিয়েছে।

প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি ইউ ইউ ললিত ও বিচারপতি কে এম যোসেফের এজলাসে রাফাল নিয়ে দুটি জনস্বার্থ মামলা বিবেচিত হচ্ছে। মামলা দুটি করেছেন মনোহরলাল শর্মা ও বিনীত ধান্ডা।

কংগ্রেসসহ বিরোধীদের অভিযোগ, কংগ্রেস আমলের খসড়া চুক্তি অগ্রাহ্য করে অনেক বেশি দামে অনেক কম যুদ্ধবিমান কেনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ভারত। কংগ্রেসের করা চুক্তি মানলে ৭৯ কোটি রুপিতে পাওয়া যেত ১২৬টি রাফাল। সে জায়গায় ৫৯ হাজার কোটি রুপিতে মোদি সরকার কিনছে মাত্র ৩৬টি। আগের চুক্তিতে লাভবান হতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড, নতুন চুক্তিতে লাভ হচ্ছে অনিল আম্বানির বেসরকারি সংস্থার। আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে ‘রাফাল দুর্নীতিকেই’ প্রচারের বড় হাতিয়ার করে তুলেছে কংগ্রেস।