তুরস্কে শরণার্থীদের পুনর্বাসনে অদক্ষতার অভিযোগ

শরণার্থীদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে দেওয়া আর্থিক অনুদান তুরস্কে যথাযথ ব্যবহৃত হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে ইইউ অডিটর কোর্ট। ছবি: রয়টার্স
শরণার্থীদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে দেওয়া আর্থিক অনুদান তুরস্কে যথাযথ ব্যবহৃত হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে ইইউ অডিটর কোর্ট। ছবি: রয়টার্স

শরণার্থীদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে দেওয়া আর্থিক অনুদান তুরস্কে যথাযথ ব্যবহৃত হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে ইইউ অডিটর কোর্ট। তুরস্কে বসবাসরত শরণার্থীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ অর্থের কার্যকর কোনো সুফল দেখতে পাচ্ছে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সম্প্রতি ইইউ অডিটর কোর্ট এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদনে তুরস্কের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে।

তুরস্কে বসবাসরত শরণার্থীদের জন্য যেসব মানবিক প্রকল্পে ব্যয় করার জন্য ১০০ হাজার কোটি ইউরো আর্থিক অনুদান হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। তবে সেসব প্রকল্পের কোনো সুফল ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেখতে পায়নি। কোর্ট অব অডিটরস জানিয়েছে, উদ্বাস্তুদের অস্থায়ী বাসস্থানের অধিক সুরক্ষা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের মতো উন্নয়নের জন্য যে অনুদান তুরস্ককে দেওয়া হয়েছিল, তার বাস্তবায়ন কোর্ট অব অডিটরস দেখতে পাচ্ছে না।

দুই বছর ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে তুরস্কের চুক্তি অনুযায়ী, তুরস্কের সরকার যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে আসা শরণার্থী, যাঁরা কিনা তুরস্ক হয়ে ইউরোপে যেতে ইচ্ছুক, তাঁদের জন্য তুরস্কে শরণার্থী শিবির স্থাপন করবে এবং ইউরোপমুখীদের জন্য সীমান্তের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করবে।

২০১৬ সালের মার্চ মাসে করা ইইউ ও তুরস্কের মধ্যে হওয়া এই চুক্তি অনুযায়ী, যেসব শরণার্থী অবৈধভাবে তুরস্ক হয়ে গ্রিসের নানা দ্বীপে পৌঁছে ইউরোপমুখী হচ্ছেন, তাঁদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। তবে তুরস্কে অবস্থানরত সিরিয়ার শরণার্থীদের বৈধ প্রক্রিয়ায় শরণার্থী হিসেবে ইউরোপে আনার ব্যবস্থা করা হবে এবং তুরস্কে থাকাকালীন সব শরণার্থীর জন্য শরণার্থী শিবিরগুলোর খরচ দেবে।

এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই চুক্তির শর্তের কারণে তুরস্ককে ৩৬০ হাজার কোটি ইউরো অনুদান দিয়েছে। এ মুহূর্তে তুরস্কের মাটিতে সিরিয়ার ৩৬ লাখ শরণার্থী অবস্থান করছেন।

ইইউ অডিটর কোর্ট তাদের সমালোচনায় বলেছে, তুরস্ক শরণার্থী শিবিরগুলো চালাতে গিয়ে অতিরিক্ত প্রশাসনিক ও অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে খরচ করেছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য, বর্জ্য অপসারণ, সুপেয় পানি বা শিক্ষার মতো মানবিক বিষয়গুলোতে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী পূরণ হয়নি।