মিজোরামের ভোটযুদ্ধে এবারও নারীরা উপেক্ষিত

সস্ত্রীক মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লাল থানহাওলা।
সস্ত্রীক মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লাল থানহাওলা।

ভোটার সংখ্যায় বেশি হলেও ভারতের মিজোরামে নারীরা এবারও প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছেন। ৪০ সদস্যের মিজোরাম বিধানসভার নির্বাচনে ২০৯ জন প্রার্থীর মধ্যে নারী মাত্র ১৫ জন।

২৮ নভেম্বর পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের ১২টি রাজ্যের মধ্যে একমাত্র কংগ্রেসশাসিত মিজোরামে ভোট। রাজ্যটির ভোটারদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাই বেশি।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে মোট ভোটার ৭ লাখ ৬৮ হাজার ১৮১ জন। এর মধ্যে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৬৮৫ জন নারী।

শুধু ভোটারের সংখ্যাতেই নয়, মিজোরামের নারীরা রাজ্যের আর্থসামাজিক অগ্রগতিতেও বড় ভূমিকা পালন করেন। রোজগারের ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীদেরই বেশি উদ্যোগ নিতে দেখা যায়।

তবে ভোটে প্রার্থী করার ক্ষেত্রে নারীদের ওপর রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থার ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।

গত নির্বাচনে ৬ জন নারী প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁদের একজনও নির্বাচনে জিতেননি। এবার আগের বারের চেয়ে নারী প্রার্থী বেড়ে ১৫ জন হয়েছে।

এবার ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের ৪০ জন প্রার্থীর মধ্যে মাত্র একজন নারী। প্রধান বিরোধী দল এমএনএফ কোনো নারীকেই নির্বাচনী যুদ্ধে রাখেনি। বিজেপি আর আঞ্চলিক দল জোরাম তের ভোটযুদ্ধে ছয়জন করে নারী প্রার্থী রেখেছে। বাকি দুই নারী প্রার্থী জেডপিএমের।

মিজোরামে কংগ্রেসের একমাত্র নারী প্রার্থী লাললুম্পুই ছাংপু।
মিজোরামে কংগ্রেসের একমাত্র নারী প্রার্থী লাললুম্পুই ছাংপু।

গতবার কংগ্রেস লাললুম্পুই ছাংপুকে মন্ত্রী করে। তিনি রাজ্যের দ্বিতীয় নারী মন্ত্রী। ছাংপুই এবার কংগ্রেসের একমাত্র নারী প্রার্থী।

মিজোরাম ভোটে প্রচার এখন তুঙ্গে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ও বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ নির্বাচনী প্রচারে নানান প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলছেন।

দুর্গ ধরে রাখতে কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতি দশম শ্রেণি পাস করলেই ল্যাপটপ। প্রচুর চাকরি। অন্যদিকে, বিজেপি ১ টাকা কেজি চাল ও সুশাসনকে হাতিয়ার করে ভোটারদের মন জিততে চাইছে। রাজ্যে কংগ্রেসের প্রধান প্রতিপক্ষ আঞ্চলিক দল এমএনএফের প্রতিশ্রুতি নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)।

মিজোরামে অবাধ ও পরিচ্ছন্ন ভোটের পরম্পরা বজায় রাখতে নির্বাচনী তৎপরতা চলছে প্রশাসনে। ইতিমধ্যে রাজ্যের লাইসেন্সপ্রাপ্ত ১০ হাজার ৩৩৭টি বন্দুক জমা পড়েছে প্রশাসনের কাছে।

নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মীয় ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পরিচ্ছন্ন ভোটের জন্য প্রচার জারি রেখেছে।

মিজোরামের ভোটের ফল প্রকাশিত হবে আগামী ১২ ডিসেম্বর। একই দিন মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও তেলেঙ্গানার ফল পাওয়া যাবে।