হঠাৎ ইইউ সদর দপ্তরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

ব্রাসেলসে ইইউ সদর দপ্তরে ওই জোটের নেতা জাঙ্কারের সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে (বাঁয়ে)। ছবি: এএফপি
ব্রাসেলসে ইইউ সদর দপ্তরে ওই জোটের নেতা জাঙ্কারের সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে (বাঁয়ে)। ছবি: এএফপি

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে গতকাল বুধবার রাতে হঠাৎ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদর দপ্তর ব্রাসেলসে এসেছেন। কারণ আগামী রোববার ব্রেক্সিট-সংক্রান্ত বকেয়া ও কিছু বিতর্কিত বিষয়ে নিষ্পত্তির জন্য যে শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে, সেই বিষয়ে আগে ভাগেই কিছু সমাধান খুঁজে বের করা।

ব্রাসেলস থেকে লন্ডন ফেরার সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আগামী শনিবার আবার ব্রাসেলসে আসবেন বলে জানান। পরদিন রোববার যুক্তরাজ্য ও ইইউ জোটের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের উপস্থিতিতে ব্রাসেলসে ব্রেক্সিট-সংক্রান্ত খসড়া চুক্তি অনুমোদিত হওয়ার কথা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রস্তাবিত খসড়া চুক্তি থেকে আরও কিছুটা বাড়তি সুবিধার আশায় প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জাঁ ক্লদ জাঙ্কারের সঙ্গে কথা বলতেই হঠাৎ করে ব্রাসেলসে আসেন তিনি। উভয় পক্ষই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বললেও মূলত বকেয়া সংক্রান্ত মূল সমস্যার কোনো জট খোলেনি। তবে রোববার শেষ সময়ের আলোচনার ফলাফল পাওয়া যাবে।

ব্রেক্সিট বিষয় সংক্রান্ত বকেয়া ও কিছু নাজুক বিষয় নিয়ে এই মুহূর্তে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বেশ প্রতিকূল অবস্থায় রয়েছেন। এদিকে ইউরোপীয় নেতারাও ব্রেক্সিট-সংক্রান্ত খসড়া চুক্তিকে আর কোনো ছাড় সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন। আগামী রোববারের আগে খসড়া চুক্তিটির বিষয়ে নিষ্পত্তি না হলে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল ব্রাসেলসে যাবেন না বলে জানিয়েছেন। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ স্পেনীয় অঞ্চলে ব্রিটিশ দ্বীপ জিব্রাল্টার নিয়ে পরিষ্কার কোনো সমাধান না হলে রোববারের সম্মেলনে ভেটো দেবেন বলে জানিয়েছেন।

দীর্ঘ ১৮ মাস সময় নিয়ে ব্রেক্সিট বিষয়ক ৫৮৫ পৃষ্ঠার যে খসড়া দলিল ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে গিয়ে যুক্তরাজ্য ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক ঝড় শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে আবার আগামী শনিবার মূল সম্মেলনে যোগ দিতে ব্রাসেলস আসবেন।

ব্রেক্সিটের সদ্য সমাপ্ত খসড়া চুক্তিতে বলা আছে, ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ বিচ্ছেদ কার্যকর হবে। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে ২০২০ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত বর্তমান সম্পর্ক বজায় থাকবে। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে কোনো সমাধানে না পৌঁছাতে পারলে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা সমাপ্ত হবে। তারপরও উভয় পক্ষ ভবিষ্যৎ বাণিজ্য এবং অন্যান্য আদান-প্রদানের সম্পর্ক নির্ধারণ করতে পারলে অন্তর্বর্তী ব্যবস্থার মেয়াদ আরও বাড়বে।