ছাত্র-ছাত্রী কথা বন্ধে নোটিশ জারি

নারী শিক্ষার্থীরা ছেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারবেন না। আদেশ মানা না হলে শাস্তি ভোগ করতে হবে। ওডিশার সামবালপুরের বীর সুরেন্দ্র সাই ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির একটি নারী হলের শিক্ষার্থীদের জন্য এ নোটিশ জারি করেছে।
নারী শিক্ষার্থীরা ছেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারবেন না। আদেশ মানা না হলে শাস্তি ভোগ করতে হবে। ওডিশার সামবালপুরের বীর সুরেন্দ্র সাই ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির একটি নারী হলের শিক্ষার্থীদের জন্য এ নোটিশ জারি করেছে।

নারী শিক্ষার্থীরা ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে পারবেন না। আর যদি এ আদেশ লঙ্ঘন হয়, তবে ওই শিক্ষার্থীর জন্য শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সম্প্রতি এক নোটিশ জারি করে এসব কথা জানিয়েছে ভারতের ওডিশার একটি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটির মধ্য একটি নারী হলের শিক্ষার্থীদের বেলায় এ নোটিশ জারি হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্তে সমালোচনা চলছে জোরেশোরে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে মুখরোচক আলোচনা। তবে বাকি চারটি নারী হলে কেন এই নোটিশ জারি হয়নি, তা জানা যায়নি।

ওডিশার সামবালপুরের বীর সুরেন্দ্র সাই ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির একটি নারী হলের শিক্ষার্থীদের জন্য নোটিশ জারি করে বলেছে, ‘নারী শিক্ষার্থীরা ছেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারবেন না। নোটিশের আদেশ মানা না হলে ওই শিক্ষার্থীকে বড় ধরনের শাস্তি ভোগ করতে হবে।’ এ নোটিশের অর্থ হলো নারী শিক্ষার্থীরা হোস্টেলের আশপাশের রাস্তায় ছেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলা বা আড্ডা দিতে পারবেন না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বলছে, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুরেন্দ্র সাই ইউনিভার্সিটির পাঁচটি নারী হলের মধ্য একটি রোহিনির শিক্ষার্থীদের এ নোটিশ জারি হয়েছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, পাঁচটি নারী হলের মধ্য রোহিনি হলের শিক্ষার্থীদের প্রতি এ নোটিশ জারি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য এক নোটিশ জারি করে বলেছেন, ‘হলের নারী শিক্ষার্থীরা ছেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারবেন না। নোটিশের আদেশ মানা না হলে শাস্তি ভোগ করতে হবে।’

দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পি সি সোয়েন বলেন, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই ওই নোটিশ জারি করা হয়েছে।

ভারতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এমন বিতর্কিত আদেশ প্রায়ই জারি হয়। এর আগে পুনের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের পোশাক ব্যবহারের জন্য বিধি জারি করেছিল। নারী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি জারি করা ওই বিধিতে স্কার্টের মাপ ও অন্তর্বাসের রংও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। সমালোচনার মুখে পরে সেই আদেশ বাতিল করা হয়।