টুইট করে অর্থ ফেরত দিতে চাইলেন ফেরারি মালিয়া!

বিজয় মালিয়া
বিজয় মালিয়া

ভারতের পলাতক ঋণখেলাপি শিল্পপতি বিজয় মালিয়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর প্রাপ্য ফেরত দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। সামাজিক মাধ্যম টুইটার মারফত এই ইচ্ছা প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, অনুগ্রহ করে টাকাটা গ্রহণ করুন।

ভারতের একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের টাকা ফেরত দেওয়ার এই ইচ্ছা মালিয়া প্রকাশ করলেন যখন তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণের বিষয়টি ব্রিটেনের আদালতে গভীরভাবে বিবেচিত হচ্ছে। পাঁচ দিন পর সেই রায় জানা যাবে। তার আগে এই ইচ্ছা প্রকাশ করে মালিয়া বলেছেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংবাদমাধ্যম বলছে, আমি নাকি টাকা নিয়ে পালিয়েছি। কথাটি অসত্য ও দুঃখজনক।’ তিনি বলেছেন, দুর্নীতির পোস্টার বয় নন তিনি। এই কথা এর আগেও তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জানিয়েছিলেন।

দুবছর আগে ২০১৬ সালে দেশত্যাগের সময় ব্যাংকের কাছে মালিয়ার দেনা ছিল কমবেশি ৯ হাজার কোটি রুপি। ঋণের কারণ সম্পর্কে মালিয়া টুইটে বলেছেন, কিংফিশার এয়ারলাইনস ছিল চমৎকার একটা সংস্থা। কিন্তু জ্বালানির দাম মাত্রাছাড়া হয়ে গিয়েছিল। জ্বালানি কিনতেই ব্যাংকের টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছিল। তা সত্ত্বেও তিনি জনগণের টাকা ফেরত দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

মালিয়া কেন হঠাৎ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা তুললেন, সে বিষয়টি এই মুহূর্তে বেশ আলোচিত। ব্যাখ্যাটি এই রকম, ব্রিটেনের আদালত তাঁকে ভারতে ফেরত পাঠালে যেন জেলে থাকতে না হয়, সে জন্য টাকা ফেরত দেওয়ার এই প্রস্তাব। বিবাদ মেটানোর পাশাপাশি সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা। এই জল্পনা সম্পর্কে মালিয়া অবশ্য বলেছেন, প্রত্যর্পণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আদালতই নেবেন। আইনগতভাবে তিনি তা মোকাবিলা করবেন।

মালিয়া যেদিন এই প্রস্তাব দেন, তার আগের দিন দুবাই থেকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয় অগস্তা ওয়েস্টল্যান্ড হেলিকপ্টার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযুক্ত ব্রিটিশ নাগরিক ক্রিশ্চিয়ান মিশেল জেমসকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, কংগ্রেসের শাসনকালে ২২৫ কোটি রুপির বিনিময়ে তিনি ৩ হাজার ৬০০ কোটি রুপির ওই হেলিকপ্টার বেচাকেনায় সাহায্য করেছিলেন। জেমসের প্রত্যর্পণকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করেছে বিজেপি। রাজস্থানের নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুধবার বলেছেন, এবার সব সত্য প্রকাশ পাবে।