দইচোর ধরতে ডিএনএ টেস্ট!

না বলেই একজনের দই খেয়ে ফেলেছেন আরেকজন। কিন্তু স্বীকার করছেন না। পরে ক্ষুব্ধ ব্যক্তি নিলেন আইনের আশ্রয়। পুলিশও এর কিনারা করতে না পেরে শেষে ডিএনএ টেস্ট করেছে। দইচোর ধরতেই এই ব্যয়বহুল টেস্ট করেছে পুলিশ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, তাইওয়ানে ঘটেছে এই অদ্ভুত ঘটনা। সেখানকার তাইপেই শহরের এক নারী পুলিশের কাছে এ অভিযোগ করেছিলেন। আরও পাঁচ নারীর সঙ্গে থাকতেন তিনি। তাঁরা সবাই মূলত শিক্ষার্থী। অভিযোগকারী নারী বলেছেন, হুট করেই একদিন তিনি দেখেন যে তাঁর দধিজাতীয় পানীয়র একটি বোতল পুরো খালি পড়ে রয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এই শিক্ষার্থীরা সবাই চায়নিজ কালচারাল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন। অভিযোগকারী নারী দইয়ের বোতল খালি পাওয়ার পর সঙ্গে থাকা সবাইকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। দইচোরকে অপরাধ স্বীকার করারও আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। কেউই অবশ্য উচ্চবাচ্য করেনি। শেষে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

যে পরিমাণ দই চুরি করা হয়েছিল, বাজারে তার দাম মোটে ২ ডলার। কিন্তু চোরকে ধরতে পুলিশ যে ডিএনএ টেস্ট করেছে, তাতে খরচ পড়েছে ৯৮ ডলার। দই চোর ধরতে পুলিশ ডিএনএ টেস্ট করায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন তাইপেই শহরের অনেক অধিবাসী। কারণ সেখানে এমন ডিএনএ টেস্ট বেশ ব্যয়বহুল। এভাবে তুচ্ছ কারণে সরকারি অর্থের অপচয় করাতেই সাধারণ নাগরিকেরা ক্ষোভ ঝেড়েছেন।

ওদিকে ডিএনএ টেস্টের পর অবশেষে দই চোরকে চিহ্নিত করা গেছে। অভিযোগকারী নারীর সঙ্গে একই বাসায় থাকা পাঁচজনের একজন তিনি। এখন চোরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।