ডলারের শক্তি খর্ব করতে চায় ইউরোপ

ইউরোপীয় কমিশন বিশ্বজুড়ে ইউরো মুদ্রার ভূমিকা আরও জোরদার করতে চায়। প্রতীকী ছবিটি রয়টার্সের
ইউরোপীয় কমিশন বিশ্বজুড়ে ইউরো মুদ্রার ভূমিকা আরও জোরদার করতে চায়। প্রতীকী ছবিটি রয়টার্সের

ইউরোপীয় কমিশন বিশ্বজুড়ে ইউরো মুদ্রার ভূমিকা আরও জোরদার করতে চায়। জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে কমিশনভুক্ত দেশগুলো ভবিষ্যতে একক মুদ্রার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন শর্ত আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপীয় দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে।

এই অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সংকটের কারণেই ইউরোপের দীর্ঘ দিনের পরীক্ষিত বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজেদের মুদ্রা ইউরোকে বিশ্বজুড়ে শক্তিশালী করতে চায় ইউরোপীয় কমিশন। সংস্থাটি ব্রাসেলসে জানিয়েছে, ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বিনিময়গুলো তারা ইউরোকে রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে প্রতিস্থাপন করতে চায়।

যদিও বিশ্ব অর্থনৈতিক বাজারে ইউরোপীয় কমিশন সরাসরি কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। কারণ পণ্যের বাজারই মূলত চাহিদা মাফিক কোন মুদ্রা ব্যবহার করা হবে—তা নিয়ন্ত্রণ করে এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তবে এখন থেকে ইউরোপীয় কমিশনভুক্ত দেশগুলো, যারা কেবল জ্বালানি আমদানির ব্যয় বাবদ তিন শ বিলিয়ন ইউরো পরিশোধ করে থাকে, তা ইউরো মুদ্রায় পরিশোধের চেষ্টা করা হবে। এত দিন যাবৎ এই জ্বালানি আমদানি ব্যয় বাবদ মাত্র ১৫ শতাংশ ইউরো মুদ্রায় পরিশোধ করা হতো। বাদ বাকিটা ডলারে পরিশোধ করা হতো।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু বিষয়ক কমিশনার মিগুয়েল আরিয়াস ক্যানেট গতকাল বলেছেন, বিশ্বজুড়ে ইউরো মুদ্রার ভূমিকা বাড়াতে সদস্য দেশগুলোকে পদ্ধতিগত পরামর্শ দেওয়া হবে। উল্লেখ্য ইউরোপীয় কমিশন হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলির অর্থনীতি, রাজনীতি ও সমাজ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য বিষয়গুলোর সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান।

আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে বিরোধের পটভূমিতে চলতি বছরের মে মাস থেকে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব ইইউ দেশগুলোতেও পড়েছে। এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রও তাদের মুদ্রা ডলারকে বিশ্বব্যাপী এক নম্বর মুদ্রা হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।