জাপানের বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ভাসবে সাগরে

জাপানের জেএস ইজুমো এবং জেএস কাগা জাহাজ দুটি ২০১৭ সালে চীন সাগরে মহড়ায়। ছবি: সংগৃহীত
জাপানের জেএস ইজুমো এবং জেএস কাগা জাহাজ দুটি ২০১৭ সালে চীন সাগরে মহড়ায়। ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো সাগরে বিমানবাহী জাহাজ ভাসানোর ঘোষণা দিয়েছে জাপান। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফ-৩৫বি ফাইটার জেট বহনের জন্য নিজেদের দুটি যুদ্ধজাহাজ মেরামত করে সাগরে ভাসাবে জাপান। মঙ্গলবার জাপানের প্রধান কেবিনেট সেক্রেটারি ইশোহিদে সুগা’র বরাত দিয়ে এসব কথা বলা হয়েছে সিএনএনের প্রতিবেদনে।

জাপানের ১০ বছরের প্রতিরক্ষা হিসাব অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৪২টি এফ-৩৫বি ফাইটার জেট কিনবে দেশটি। এগুলো কিছু দূর গিয়েই টেক-অফ এবং আড়াআড়িভাবে ল্যান্ড করতে পারবে। এগুলো বহন করা হবে জেএস ইজুমো এবং জেএস কাগা নামের ৮০০ ফিট লম্বা এবং ২৭ হাজার টনের দুটি জাহাজে করে।

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও ৪২টি এফ-৩৫বি ফাইটার জেট কিনবে জাপান। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও ৪২টি এফ-৩৫বি ফাইটার জেট কিনবে জাপান। ছবি: সংগৃহীত

ইশোহিদে সুগা বলেন, পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে জাপানিদের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সম্ভাব্য সব পদক্ষেপই নেবে সরকার। নতুন প্রতিরক্ষাব্যবস্থার পর্যালোচনা খুবই অর্থপূর্ণ। কারণ, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভিত্তি হিসেবে জাপানি জনগণের সুরক্ষায় আমাদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সত্যিই অপরিহার্য। নতুন প্রতিরক্ষা নির্দেশিকায় চীন, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোর মতো বিশাল সামরিক সক্ষমতাসম্পন্ন সংস্থাগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

জাপান সরকার জানিয়েছে, এ বছরের জানুয়ারিতে নতুন এফ-৩৫ এ জেট ফাইটার বিমান মিসাওয়ায় বন্দরে এসে পৌঁছায়। প্রচলিত রানওয়েতে টেক-অফ ও ল্যান্ড করতে পারে এমন এফ-৩৫এ জেট আরও কিনবে তারা।

জাপান সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী পরিচালনার জন্য সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থা ও নৌপরিবহন ইউনিট তৈরি করছে। এ জন্য ব্যয় করেছে ২৮২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। ছবি: সংগৃহীত
জাপান সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী পরিচালনার জন্য সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থা ও নৌপরিবহন ইউনিট তৈরি করছে। এ জন্য ব্যয় করেছে ২৮২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। ছবি: সংগৃহীত

প্রথম পাঁচ বছরে ২৭টি এফ-৩৫এ এবং ১৮টি এফ-৩৫বি ফাইটার জেট হাতে পাবে জাপান। যুদ্ধজাহাজ দুটি মেরামত করতে পারবে জাপান। এ ছাড়া দেশটির সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে পরিচালনার জন্য সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থা ও নৌপরিবহন ইউনিট তৈরি করা হবে। এ জন্য ব্যয় করেছে ২৮২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার।