রানি ভিক্টোরিয়ার মেয়ের সিগারেট কেনার টাকা বকেয়া

রাজকুমারী লুইস
রাজকুমারী লুইস

সিগারেট বিক্রেতার কাছে সিগারেট কেনার ১৫ শিলিং বকেয়া রেখেই মারা যান রানি ভিক্টোরিয়ার চতুর্থ কন্যা রাজকুমারী লুইস। পুরোনো নথিপত্রে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে ।

রাজকুমারী লুইস ১৯৩৯ সালে মারা যান। তখন তাঁর বয়স ছিল ৯১ বছর। কিন্তু তখনো তাঁর কাছে সিগারেট কেনার জন্য অর্থ পেত বাকিংহাম প্যালেস এবং সেন্ট লুইস প্যালেসের মাঝামাঝিতে অবস্থিত আর লেউইস লিমিটেড নামের একটি সিগারেট কোম্পানি।

এ বছরের শুরুর দিকে লুইসের সম্পদের বিবরণী প্রকাশ করে ন্যাশনাল আর্কাইভ ইন কেইউ। ইতিহাসবিদেরা বলছেন, কারও ব্যক্তিগত নথিপত্র প্রকাশ করার বিষয়টি ব্যতিক্রমী ঘটনা। কারণ, এসব নথি সাধারণত সিল করা থাকে।

বিখ্যাত শিল্পী হিসেবেও পরিচিতি রাজকুমারী লুইসের। তিনি ছিলেন রানি ভিক্টোরিয়া ও প্রিন্স আলবার্টের ষষ্ঠ সন্তান এবং চতুর্থ কন্যা। নিজের আলাদা ধরনের জীবনযাত্রার জন্য তাঁর বেশ সুনামও ছিল।

নথিপত্র অনুযায়ী, মারা যাওয়ার সময় রাজকুমারী লুইস ২ লাখ ৩৯ হাজার ২৬০ পাউন্ড, ১৮ শিলিং ও ৬ পেন্স রেখে যান। বর্তমানে যার মূল্য ৭০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি। তবে সিগারেট কেনার সেই ১৫ শিলিং তাঁর বকেয়াই থেকে যায়। রাজকুমারীর জীবনীকার লুসিন্দা হকসলে বলছেন, রাজকুমারী নিয়মিত ধূমপান করতেন। তবে বিষয়টি তিনি তাঁর মায়ের কাছে সব সময় লুকিয়ে রাখতেন।

যখন তাঁর ভাই এডওয়ার্ড টু ১৯০১ সালে রাজা হন, তখন তিনি প্রথমবারের মতো রাজকীয় প্রাসাদের ‘স্মোকিং’ কক্ষে ধূমপানের সুযোগ পান। অপর দিকে রাজকীয় জীবনযাপন নিয়ে বইয়ের লেখক মাইকেল ন্যাশ বলছেন, এসব নথিপত্রের মাধ্যমে গত শতাব্দীর ত্রিশের দশকের একজন রাজকুমারীর জীবনযাপন সম্পর্কে একটি চটজলদি চিত্র পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে জীবনীকার হকসলের ধারণা, রাজকুমারী লুইসের এক অবৈধ পুত্রসন্তান ছিল, যাকে তাঁর মায়ের স্ত্রীরোগ চিকিৎসকের ছেলে দত্তক নিয়েছিলেন। তবে এসব নথিপত্রে তার কোন উল্লেখ নেই, যদিও রাজকুমারীর কাছ থেকে সুবিধা পাওয়া অনেকের নাম এতে রয়েছে।