১৭ রাজ্যে অমিত শাহর নয়া পর্যবেক্ষক

অমিত শাহ। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
অমিত শাহ। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

বিজেপির দিনকাল ভালো যাচ্ছে না। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু তাদের সামনে অশনিসংকেত। এ অবস্থায় বিজেপি দলকে চাঙা করতে, লোকসভা নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে ১৭ রাজ্যে নতুন করে ১৭ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে।

নিয়োগ পাওয়া পর্যবেক্ষকেরা দলের হয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে সাংগঠনিক কাজ করবেন।

গতকাল বুধবার এই ১৭ জন নতুন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।

১৭ রাজ্যের তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের নাম নেই। তবে মোদি ও অমিত শাহর রাজ্য গুজরাটের নাম আছে। বাকি রাজ্যগুলো হলো মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ, আসাম, বিহার, হিমাচল, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, ঝাড়খন্ড, ওডিশা, পাঞ্জাব, সিকিম, তেলেঙ্গানা ও উত্তরাখন্ড।

গুজরাটের বিজেপি নেতা গোবর্ধন ঝড়াপিয়াকে উত্তর প্রদেশের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে।

উত্তর প্রদেশের পর্যবেক্ষক ওমপ্রকাশ মাথুরকে গুজরাটের পর্যবেক্ষক হিসেবে আনা হয়েছে।

ত্রিপুরা রাজ্য জয়ে বিজেপির অন্যতম কারিগর সুনীল দেওধরকে অন্ধ্র প্রদেশের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর ও থাওয়াচন্দ গেহলটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজস্থান ও উত্তরাখন্ডের।

বিহারে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা ভূপেন্দর যাদব, ছত্তিশগড়ে অনিল জৈন ও পাঞ্জাবে ক্যাপ্টেন অভিমন্যুকে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছেন অমিত শাহ।

অমিত শাহর লক্ষ্য ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিজেপিকে জয়ী করা।

সম্প্রতি হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্য রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জোর ধাক্কা খায়। এই তিন রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বিজেপি কংগ্রেসের কাছে ধরাশায়ী হয়।

তিন রাজ্যে পরাজয়ের আগে কর্ণাটকেও বিজেপি হার মানে কংগ্রেস ও জনতা দলের (ধর্মনিরপেক্ষ) জোটের কাছে।

মোদি-অমিত শাহর গুজরাট রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেও শাসক দল বিজেপিকে ধাক্কা দেয় কংগ্রেস।

সবকিছু মিলিয়ে বিজেপিতে হতাশা ভর করেছে।

আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কী হাল হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে।

সন্দেহ নিয়ে অনেকেই বলছেন, তবে কি বিজেপি আগামী লোকসভা নির্বাচনে ফিরতে পারছে না? তারা কি ক্ষমতা হারাতে চলেছে?

ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন শিবসেনা আগেই বিজেপির গড়া এনডিএ জোট ছেড়ে বিরোধীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক কালের এসব ঘটনায় বিজেপির জয় নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

ভারতের আলোচিত যোগগুরু ও পতঞ্জলী আয়ুর্বেদ শিল্পগোষ্ঠীর সহপ্রতিষ্ঠাতা বাবা রামদেব গত মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ, এই মুহূর্তে ভারতের রাজনীতি জটিল হয়ে পড়েছে।

বাবা রামদেব এ কথাও বলেছেন, আগামী লোকসভা নির্বাচন নিয়ে তিনি আর মাথা ঘামাবেন না। কোনো ব্যক্তিকে সমর্থন দেবেন না। কারও বিরোধিতাও করবেন না।

লোকসভার সবশেষ নির্বাচনে এই রামদেবই মোদির জন্য গলা ফাটিয়েছিলেন। বারবার বলেছিলেন, তিনি মোদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। মোদির জয়ের পর ২০১৫ সালে রামদেবকে হরিয়ানা রাজ্য সরকার তাদের ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর করছিল।