আদেল আল-জুবেইরের পদাবনতি

আদেল আল-জুবেইর। রয়টার্স ফাইল ছবি
আদেল আল-জুবেইর। রয়টার্স ফাইল ছবি

সৌদি সরকারের পুনর্বিন্যাসে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা আদেল আল-জুবেইরের পদাবনতি হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সৌদি আরবের বাদশা সালমান সরকারে পুনর্বিন্যাস এনেছেন।

সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার জেরে তীব্র চাপের মুখে থাকা সৌদি আরব তার সরকারে পুনর্বিন্যাস আনল। আর এই পুনর্বিন্যাসের কোপটা পড়েছে আল-জুবেইরের ঘাড়ে।

এত দিন পূর্ণ মন্ত্রীর পদে ছিলেন আল-জুবেইর। পুনর্বিন্যাসের পর এখন তাঁর পদ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে বসেছেন ইব্রাহিম আল-আসাফ। তিনি দীর্ঘদিন অর্থমন্ত্রীর পদে ছিলেন।

গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে সাংবাদিক খাসোগিকে হত্যা করা হয়।

সৌদি আরব প্রথমে খাসোগি হত্যার কথা অস্বীকার করে। পরে তারা স্বীকার করতে বাধ্য হয় যে, একদল সৌদি এজেন্টের হাতে খাসোগি খুন হন।

খাসোগি হত্যায় জড়িত সন্দেহে সৌদি আরব তাদের কয়েকজন নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। বিচারপ্রক্রিয়ায় তারা পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে।

খাসোগি হত্যার সন্দেহভাজন নির্দেশদাতা হিসেবে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নাম ঘুরেফিরে উঠে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের গোয়েন্দারাও এমন আভাস দিয়েছে। তবে সৌদি সরকার শুরু থেকেই খাসোগি হত্যায় যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

সৌদি যুবরাজের একজন কট্টর সমালোচক ছিলেন ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার কলাম লেখক খাসোগি।

খাসোগিকে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে হত্যা করা হলেও তা সম্ভবত তখন জানতেনই না তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল-জুবেইর। সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে যেহেতু খুনের মতো একটি ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সুতরাং তার দায় মন্ত্রী হিসেবে আল-জুবেইরের ওপরও বর্তায়।

খাসোগি হত্যা নিয়ে সমালোচনায় জর্জরিত সৌদি রাজপরিবার ও সরকারের অবস্থান আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাখ্যা করে আসছিলেন আল-জুবেইর। কিন্তু তাঁর ওপর সৌদি বাদশা সন্তুষ্ট ছিলেন না বলেই মনে হয়। সম্ভবত এ কারণেই আল-জুবেইরকে পূর্ণমন্ত্রীর পদ হারাতে হয়েছে।