মিসরে বোমা বিস্ফোরণে পর্যটকসহ নিহত ৪

বোমা বিস্ফোরণে আক্রান্ত বাসটি। গিজা, মিসর, ২৮ ডিসেম্বর। ছবি: রয়টার্স
বোমা বিস্ফোরণে আক্রান্ত বাসটি। গিজা, মিসর, ২৮ ডিসেম্বর। ছবি: রয়টার্স

মিসরে গিজা পিরামিডের কাছে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন ভিয়েতনামি পর্যটক ও স্থানীয় এক গাইড নিহত হয়েছেন। আহত ১২ জন। গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে একটি বাস গিজার হারাম এলাকার মারিয়ুতিয়া সড়ক পার হওয়ার সময় দেয়ালের পাশে লুকানো বোমাটি বিস্ফোরিত হলে হতাহত হওয়ার এ ঘটনা ঘটে।

হামলার দায় এখনো কেউ শিকার করেনি।

বাসটিতে মিসরীয় চালক ছাড়াও ১৪ জন ভিয়েতনামি পর্যটক ছিলেন।

মিসরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা মাদবউলি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীকে না জানিয়ে অনির্ধারিত একটি পথ ধরে পিরামিডের দিকে যাওয়ার সময় গাড়িটি আক্রান্ত হয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।

রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, আহত ব্যক্তিদের কাছের হারাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

গত বছর হুর্গহাদায় বেশ জনপ্রিয় রেড সি রিসোর্টে ছুরিকাঘাতে দুই জার্মান পর্যটক নিহত হয়েছিলেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। গিজা, মিসর, ২৮ ডিসেম্বর। ছবি: রয়টার্স
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। গিজা, মিসর, ২৮ ডিসেম্বর। ছবি: রয়টার্স

মিসরের প্রতিবেশী দেশগুলো এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। কায়রোতে নিযুক্ত ব্রিটিশ কূটনীতিক জিওফ্রে অ্যাডামস টুইট করে লিখেছেন, ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মিসরের পাশে যুক্তরাজ্য আছে।’

মিসরের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ঘটনার পর আমরা ভিয়েতনামের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এখন যেটা গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো আহত ব্যক্তিদের যত্ন নেওয়া।’

মিসরে অর্থনীতির একটি বড় খাত পর্যটনশিল্প। ২০১০ সালে দেশটিতে ১ কোটি ৪০ লাখ পর্যটক বেড়াতে এসেছিলেন। কিন্তু এর পরের বছরে আরব বসন্তের কারণে পর্যটকের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমতে থাকে। ২০১৫ সালে জঙ্গিরা মিসরের অবকাশযাপন কেন্দ্র শারম আল শেখে রুশ যাত্রীবাহী একটি বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করলে পরের বছর পর্যটকের সংখ্যা অনেক কমে আসে। ওই ঘটনায় রুশ উড়োজাহাজের ২২৪ আরোহী নিহত হয়েছিলেন।

বিশ্বব্যাংকের হিসাবে এর পরের বছর পর্যটকের সংখ্যা ৫৩ লাখে নেমে আসে। তবে গত বছর এ পরিস্থিতি কিছুটা কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছিল মিসর। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের খবরে বলা হয়, ২০১৭ সালে ৮৩ লাখ পর্যটক দেশটিতে এসেছেন।