পদ ফিরে পেলেন অলোক ভার্মা

অলোক ভার্মা। ফাইল ছবি।
অলোক ভার্মা। ফাইল ছবি।

ফের বড় ধরনের ধাক্কা খেল মোদির সরকার। রাতারাতি ভারতের শীর্ষ তদন্ত সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (সিবিআই) প্রধান অলোক ভার্মাকে সরিয়ে দেওয়ার সরকারি আদেশ বাতিল করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এতে তিন মাসের মাথায় আবার জায়গা ফিরে পাচ্ছেন তিনি। অলোক ভার্মার জায়গায় অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নিয়োগের বিষয়টিও বাতিল করেছেন আদালত।

আদালত বলেছেন, অলোক ভার্মা এখন তাঁর অফিসে যেতে পারবেন, কিন্তু বড় ধরনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।

ভারতের এনডিটিভি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সিবিআইপ্রধান অলোক ভার্মাকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত খারিজ করে তাঁকে নিজের পদ ফিরিয়ে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। তিন মাস পর নিজের পদ ফিরে পাচ্ছেন তিনি।

এনডিটিভি প্রতিবেদনে বলা হয়, অলোক ভার্মার সঙ্গে সিবিআইয়ের বিশেষ পরিচালক রাকেশ আস্তানার সংঘাত দেখা দেয়। রাকেশের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন অলোক। এ বিতর্কের মধ্যেই অলোক ও রাকেশকে ছুটিতে পাঠায় কেন্দ্র। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন অলোক। সেই মামলাতেই রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। তবে পদ ফিরে পেলেও এখন কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না অলোক ভার্মা।

গত বছরের ১৫ অক্টোবর নিজেদের বড়কর্তা রাকেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে সিবিআই নিজেই। রাকেশ আস্থানাসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগে বলা হয়, মাংস রপ্তানিকারক মইন কুরেশির বিরুদ্ধে থাকা মামলায় হস্তক্ষেপের বিনিময়ে আস্থানা ঘুষ নিয়েছেন। মইন কুরেশির বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে কলকাঠি নেড়েছেন অলোক ভার্মা। কারণ, শুরু থেকেই রাকেশের বিরোধী ছিলেন তিনি।

অবশ্য এ ঘটনার আগেই অলোকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন রাকেশ। আর আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠনের পর আদালতে গিয়ে আগাম জামিন নেন রাকেশ আস্থানা। পরে দুই সিবিআই কর্তাকেই ছুটিতে পাঠায় মোদি সরকার।

অলোক ভার্মা সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেন। তিনি বলেন, নিয়ম হলো সিবিআইপ্রধান দুই বছর দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁকে সরাতে নির্বাচিত কমিটি প্রয়োজন হবে।

সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়, দুই কর্মকর্তার রেষারেষি যেভাবে চলছিল, তাতে ছুটিতে পাঠানো ছাড়া উপায় ছিল না। সরকারি আদেশের পরামর্শক সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন বলেছে, অসাধারণ পরিস্থিতিতে অসাধারণ সমাধান করতে হয়।