কর্ণাটকে টলমলে সরকার

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী কিছুটা বিপাকে পড়তে যাচ্ছেন। ফাইল ছবি
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী কিছুটা বিপাকে পড়তে যাচ্ছেন। ফাইল ছবি

কর্ণাটকে কংগ্রেস ও জনতা দলের জোট সরকারের অস্তিত্ব টলমলে। সরকারকে সমর্থন জানানো দুই স্বতন্ত্র বিধায়ক সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। চেষ্টা চলছে আরও অন্তত ১০ থেকে ১২ জনকে বের করার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ধর্মনিরপেক্ষ জনতা দলের (জেডিএস) এইচ ডি কুমারস্বামীর বাবা সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া বলেছেন, বিজেপি চেষ্টার অন্ত রাখছে না। সরকার বাঁচাতে এখন ঈশ্বরই ভরসা।

যে দুই স্বতন্ত্র বিধায়ক সমর্থন তুলে নিয়েছেন তাঁরা হলেন এইচ নাগেশ ও আর শঙ্কর। তাঁরা সমর্থন প্রত্যাহার করায় ২২৪ সদস্যের বিধানসভায় জোট সরকারের বিধায়ক সংখ্যা ১১৬। আরও ৪ জন সমর্থন তুললে জোট সরকার গরিষ্ঠতা হারাবে।

রাজ্য কংগ্রেসের নেতা ও মন্ত্রী ডি কে শিবকুমার জানিয়েছেন, দলের কয়েকজন বিধায়ককে মুম্বাইয়ের হোটেলে বিজেপি আটকে রেখেছে। বিজেপি নেতারা পাল্টা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী দল ভাঙানোর খেলায় নেমেছেন। বাধ্য হয়ে বিজেপি তাদের বিধায়কদের রাজ্য থেকে সরিয়ে দিয়েছে। বিজেপির বিধায়কেরা দল বেঁধে ঘাঁটি গেড়েছেন দিল্লির পাশে হরিয়ানার গুরুগ্রামের এক রিসোর্টে।

কুমারস্বামী যদি​ও নির্বিকার। তিনি বলেছেন, দুজন সমর্থন তুলে নিলেও সরকার পতনের আশঙ্কা নেই।

বিজেপির মোট বিধায়ক ১০৪। সরকার গড়তে তাদের প্রয়োজন আরও অন্তত ৯-১০ জনের সমর্থন। লোকসভার ভোটের আগে তারা এই কাজটা সেরে ফেলতে চাইছে। সফল হলে ভালো, না হলে অস্থিরতার রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে নতুন নির্বাচনের দাবি জানাতে পারবে। একই সঙ্গে এই বার্তাও তারা দিতে পারবে, দেশ ও রাজ্য চালাতে বিরোধীরা ব্যর্থ। কর্ণাটক পরিস্থিতিকে লোকসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘দৃঢ়’ নেতৃত্বের বিজ্ঞাপন হিসেবেও বিজেপি ব্যবহার করতে পারবে। পাশাপাশি, বিরোধী ঐক্যেও দেওয়া যাবে একটা বড় ধাক্কা।