রোহিঙ্গারা মানবিক সহায়তা পাচ্ছে: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। ফাইল ছবি
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। ফাইল ছবি

ভারতের ত্রিপুরায় আটক রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। শিশুদের দুধ ও পোশাকও দেওয়া হচ্ছে, ১৮ বছরের কম বয়সীদের রাখা হয়েছে হোমে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় নিজের সরকারি বাসভবনে প্রথম আলোকে এ কথা জানিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।

বলা হচ্ছে, গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের ওপারে ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে ৩১ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিএসএফের অভিযোগ, তাঁরা বাংলাদেশ থেকে বিনা পাসপোর্টে ভারতে ঢোকে। তবে রোহিঙ্গাদের পাল্টা অভিযোগ, তাঁরা ভারতের কাশ্মীর রাজ্য থেকে ট্রেনে-বাসে চেপে ত্রিপুরায় এসে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

সীমান্ত এলাকা থেকে ৩১ জন রোহিঙ্গার পাশাপাশি অসম-ত্রিপুরা সীমান্তের চুরাইবাড়ি থেকেও ৩০ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ত্রিপুরায় রোহিঙ্গাদের এই গতিবিধি নিয়ে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘শিশুদের হোমে রাখা হয়েছে। বাকিদের আদালত জেলে পাঠিয়েছেন। আমরা ওদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করছি। পোশাকও কিনে দিতে হচ্ছে।’

বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব সাফ বুঝিয়ে দেন যে, রোহিঙ্গা নিয়ে কোনোরকম বিতর্কে জড়িয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে জটিলতা আনতে চান না তিনি। বরং সুসম্পর্ক অক্ষুণ্ন রেখে ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি চান তিনি।

তাই রোহিঙ্গাদের নিয়ে অন্যান্য প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন ফের দাবি করেন ভারত-বাংলাদেশ সুসম্পর্কের কথা। তাঁর দাবি, ১০ মাসের মধ্যেই ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে জাহাজ চলাচল চালু হবে। ২৮ ফেব্রুয়ারি ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের পানি মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা দুদিনের সফরে ত্রিপুরায় আসছেন। তাঁরা এ বিষয়ে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখবেন। ফেব্রুয়ারি মাসেই এ বিষয়ে দরপত্র আহ্বান করা হবে।

ত্রিপুরার সোনামুরা থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশের আশুগঞ্জ নদী বন্দর। নদী সংস্কারের মাধ্যমে সোনামুরা ও আশুগঞ্জ যুক্ত হলে উভয় দেশই লাভবান হবে বলেও দাবি করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলছেন, বাংলাদেশও এ বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক।