যে ছবি নিয়ে তোলপাড়

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখদুম লিঙ্গবৈষম্য দূর করায় অবদান রেখে পুরস্কৃত ব্যক্তিদের অভিনন্দন জানান। অনুষ্ঠানের প্রকাশিত ছবি নিয়ে টুইটারে আলোচনার ঝড় ওঠে। কারণ, ছবিতে কোনো নারী ছিলেন না। ছবিটি বিবিসির সৌজন্যে
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখদুম লিঙ্গবৈষম্য দূর করায় অবদান রেখে পুরস্কৃত ব্যক্তিদের অভিনন্দন জানান। অনুষ্ঠানের প্রকাশিত ছবি নিয়ে টুইটারে আলোচনার ঝড় ওঠে। কারণ, ছবিতে কোনো নারী ছিলেন না। ছবিটি বিবিসির সৌজন্যে

সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে তোলপাড় চলছে। ছবিটি লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে অবদান রেখে দুবাইয়ের শাসকের কাছে অভিনন্দিত হওয়া অনুষ্ঠানের। ওই ছবিতে যাঁদের দেখা যাচ্ছে, তাঁরা সবাই পুরুষ। সেখানে কোনো নারীর উপস্থিতি নেই। আর এ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন টুইটার ব্যবহারকারীরা। তাঁদের ভাষ্য, লিঙ্গবৈষম্য দূর করার জন্য তো নারী-পুরুষ উভয়েরই ভূমিকা প্রয়োজন। সেখানে শুধু পুরুষদের দিয়ে কীভাবে লিঙ্গবৈষম্য দূর করা সম্ভব? 

আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের খবরে প্রকাশিত ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখদুম লিঙ্গ–সমতায় সমর্থনকারী সেরা ব্যক্তিত্ব, লিঙ্গ–সমতায় সমর্থনকারী সেরা কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ ও লিঙ্গ–সমতায় নেওয়া সেরা উদ্যোগের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানাচ্ছেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নারীরা দেশের ভবিষ্যৎ রূপরেখার কেন্দ্রে আছেন। লিঙ্গবৈষম্য দূর করার ক্ষেত্রে সরকার অনেকটা এগিয়েছে। শাসকের বক্তব্যের সঙ্গে ছবির মিল না পেয়ে টুইটার ব্যবহারকারীরা সমালোচনা করেছেন।

অবশ্য এই সমালোচনার মুখে দুবাই সরকারের গণমাধ্যম কার্যালয় আরেকটি ছবি পোস্ট করে। সেখানে দেখা যায়, শেখ মোহাম্মদ ও পুরস্কারজয়ী পুরুষদের পাশে পাঁচজন নারী দাঁড়িয়ে আছেন। তবে তাঁদের পরিচয় জানানো হয়নি।

সমালোচনার মুখে দুবাই সরকার আরেকটি ছবি প্রকাশ করে। সেখানে দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখদুমের সঙ্গে নারী ও পুরুষদের দেখা যায়। ছবিটি বিবিসির সৌজন্যে
সমালোচনার মুখে দুবাই সরকার আরেকটি ছবি প্রকাশ করে। সেখানে দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখদুমের সঙ্গে নারী ও পুরুষদের দেখা যায়। ছবিটি বিবিসির সৌজন্যে

দুবাই সরকারের গণমাধ্যম কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের জেন্ডার ব্যালেন্স কাউন্সিলের প্রধান শেখ মানাল বিনতে মোহাম্মদ বিন রাশেদ আল মাখদুম সরকারের সব খাতে লিঙ্গবৈষম্য কমানোর জন্য ২০১৫ সালে একটি লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে। এরই অংশ হিসেবে গত বছরের এপ্রিলে আমিরাতের মন্ত্রিসভা নারী-পুরুষের সমান বেতন নিশ্চিত করার আইন অনুমোদন করে। যদিও বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের গত বছরের বৈশ্বিক লিঙ্গবৈষম্য প্রতিবেদনে ১৪৯টি দেশের মধ্যে আমিরাতের অবস্থান ১২১তম। আর অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ ও সুযোগের দিক থেকে দেশটির অবস্থান ১৩৪তম।