পশ্চিমবঙ্গে দুই 'জেএমবি জঙ্গি' গ্রেপ্তার

খাগড়াগড়ের এই বাড়িটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। ছবি: প্রথম আলো
খাগড়াগড়ের এই বাড়িটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। ছবি: প্রথম আলো

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার খাগড়াগড় বিস্ফোরণ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আরও দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)। পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার আরামবাগের ডোঙ্গল এলাকা থেকে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুজনকে কলকাতার নগর দায়রা আদালতে তোলা হলে ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গ্রেপ্তার করা দুজন হলেন কদর গাজী ও সাজ্জাদ আলী। এনআইএর অভিযোগ, তাঁরা দুজন অনেক দিন ধরে এলাকায় ছদ্মবেশে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। এনআইএ এর আগে গ্রেপ্তার ‘জঙ্গি’ কাওসারকে জেরা করে এই দুজনের ব্যাপারে খোঁজ পায়। গ্রেপ্তার দুজন জানিয়েছেন, তাঁরা বীরভূমের কীর্ণহারের বাসিন্দা ।

খাগড়াগড় ও বিহারের বুদ্ধগয়ার বিস্ফোরণ ঘটনার মূল হোতা কাওসার ওরফে বোমা মিজান এখন এনআইএর হেফাজতে।

২০১৪ সালের ২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান শহরের কাছে খাগড়াগড়ের একটি ভাড়া বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই বিস্ফোরণে সন্দেহভাজন দুজন জেএমবি জঙ্গির মৃত্যু হয়। আহত হন তিনজন। জানা যায়, বাড়িটি ছিল জেএমবির ঘাঁটি। ওখানেই তৈরি হতো গ্রেনেড, বোমা। আর তা পাঠিয়ে দেওয়া হতো বাংলাদেশে।

প্রাথমিক তদন্ত শেষে পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দা পুলিশ দাবি করে, শাকিল আহমেদ ও সুবহান মণ্ডল নামের নিহত দুই ‘জঙ্গি’ বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য। তাঁরা এখানে আত্মগোপন করে অস্ত্র তৈরির কাজে নিয়োজিত ছিলেন। সেখান থেকে বাংলাদেশে অস্ত্র পাঠাতেন। এ ঘটনায় নিহত শাকিলের স্ত্রী রাজিয়া এবং আহত আবদুল হাকিমের স্ত্রী আলিমাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এই মামলায় এনআইএ এখন পর্যন্ত ৩৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়েছে। এর মধ্যে ২৫ জন কারাগারে।