চীনের 'গুয়াম কিলার' আঘাত হানবে যুক্তরাষ্ট্রে

চীনের সামরিক বিশ্লেষকেরা ডিএফ-২৬ নামের ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ‘গুয়াম কিলার’ বলে অবিহিত করছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রে গুয়াম দ্বীপেও আঘাত হানতে সক্ষম।
চীনের সামরিক বিশ্লেষকেরা ডিএফ-২৬ নামের ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ‘গুয়াম কিলার’ বলে অবিহিত করছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রে গুয়াম দ্বীপেও আঘাত হানতে সক্ষম।

কয়েক দিন আগেই ডংফেং-৪১ নামের ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায় চীন। এবার বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীন নতুন ধরনের আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র উদ্ভাবন করেছে। এ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সাগরে শত্রুর দ্রুতবেগে চলা জাহাজে আঘাত হানতে পারবে। শুধু তাই নয়, আস্ত একটি বিমানবাহী রণতরিও গুঁড়িয়ে দিতে পারবে। এমনটাই দাবি করেছে বেইজিং।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, দূরপাল্লার নতুন ব্যালিস্টিক ডিএফ-২৬ নামের ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রে গুয়াম দ্বীপেও আঘাত হানতে সক্ষম। এ পরীক্ষায় ওয়াশিংটনের মাথাব্যথার কারণও হয়ে উঠতে পারে। চীনের সামরিক বিশ্লেষকেরা ক্ষেপণাস্ত্রটিকে গুয়াম কিলার বলছে। চীনের নতুন তৈরি গুয়াম কিলার ক্ষেপণাস্ত্রটি সাড়ে পাঁচ হাজার দূরের লক্ষ্যতে সফলভাবে আঘাত হানতে পারে।

২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে সামরিক কুজকাওয়াজে প্রথমবারের প্রদর্শন করা হয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ডিএফ-২৬। এরপর এ নিয়ে হইচই পড়ে যায় এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। তখন প্রায় প্রতি সপ্তাহে ডিএফ–২৬ নিয়ে খবর প্রকাশ হতে থাকে চীনের গণমাধ্যমে।

চীনের গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসে প্রকাশিত ভিডিওটিতে দেখা যায়, চার পাখাওয়ালা ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রচণ্ড গতিতে উড়ে গিয়ে একটি জাহাজে আঘাত হেনে ধ্বংস করে ফেলছে। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের একটি প্যানেল চীনের এ ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে চীনের গুয়াম কিলার ক্ষেপণাস্ত্রকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষার জন্য উদ্বেগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।