শিক্ষার্থীদের সঙ্গে 'আকস্মিক' নৈশভোজে রাহুল

ভারতের দিল্লির একটি রেস্তোরাঁয় গত শুক্রবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নৈশভোজ করেন কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী।
ভারতের দিল্লির একটি রেস্তোরাঁয় গত শুক্রবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নৈশভোজ করেন কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী।

সাত শিক্ষার্থীর সঙ্গে রাতের খাবার খেতে খেতে গল্প করলেন ভারতের ঐতিহ্যবাহী দল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী। গত শুক্রবার দিল্লির একটি রেস্তোরাঁয় এ ঘটনা ঘটে। চাইনিজ খাবার খেতে খেতে শিক্ষার্থীরা রাহুলের সঙ্গে মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। রাহুলও এসব ভাবনার কিছুটা কংগ্রেসের ইশতেহারে রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।

রাহুলকে কাছে পেয়ে, তাঁর সঙ্গে কথা বলে মুগ্ধ এই শিক্ষার্থী দল। তাঁদের ভাষায়, রাহুল গান্ধী ভীষণই আন্তরিক ও অমায়িক মানুষ। মুম্বাইয়ের আইটি শিক্ষার্থী অভিলাষ কারি বললেন, দিল্লির খাবার দোকানে তাঁদের আমন্ত্রণ জানানোর সময় বলা হয়েছিল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তাঁদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে। একবারও বলা হয়নি খোদ কংগ্রেস সভাপতি সেখানে আসবেন। তাঁকে খাবার দোকানে ঢুকতে দেখে বিস্ময়ের আর সীমা ছিল না তাঁদের।

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘তিনি (রাহুল গান্ধী) ভীষণ বন্ধুসুলভ ও নম্র মানুষ। তিনি তাঁর প্লেট থেকে আমার পাতে খাবার তুলে দিয়েছেন। তাঁর মতো বড় রাজনীতিকের কাছ থেকে এমন ব্যবহার পাব—একবারও ভাবিনি। তিনি বড় রাজনীতিক ও আমজনতার মাঝখানে জেঁকে বসা বরফের মতো অচলাবস্থা মুহূর্তেই ভেঙে দিলেন।’

নির্বাচনকে সামনে রেখে তরুণ প্রজন্মের কথা জানতে কংগ্রেস ‘আপনি বাত রাহুল কি সাথ’ কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এর প্রথম দিনের আয়োজনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেন রাহুল। কংগ্রেসের এই আয়োজন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মন কি বাত’ আয়োজনের আদলে হচ্ছে, যদিও কংগ্রেস এই আয়োজনের জন্য মাঝেমধ্যেই মোদিকে নিয়ে রসিকতা করে।

দেবেশ্বর নামের এক শিক্ষার্থী রাহুল সম্পর্কে বলেন, ‘আমি সব জানি-ধরনের মানুষ না তিনি। তিনি খুবই খোলা মনে আলোচনা করেছেন। আলোচনার বিষয়গুলো বুঝতে চেষ্টা করেছেন।’ এই শিক্ষার্থীদের দলে ছিলেন একজন সমকাম অধিকারকর্মী। তিনি সব শিক্ষার্থীকে সমান চোখে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার জন্য লিঙ্গ–নিরপেক্ষ টয়লেটের প্রস্তাব করেন। রাহুল আগামী ইশতেহারে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে আশ্বাস দেন।

এ ছাড়া জাতপাতের বৈষম্য নিয়ে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সের শিক্ষার্থী কুনাল রামতেকে। তিনি জানিয়েছেন, রাহুলের সঙ্গে কথা বলে তাঁর মনে হয়েছে, তিনি বিষয়টির প্রতি সংবেদনশীল। তিনি হয়তো এই বৈষম্য দূর করতে পদক্ষেপ নেবেন। কারণ, এ বিষয়ে রাহুল গান্ধীর কথাবার্তা ছিল খুবই অনুপ্রেরণামূলক।