উ. কোরিয়া পারমাণবিক কর্মসূচি বহাল রেখেছে

পিয়ংইয়ংয়ের কিম ইল সাং স্কয়ারে ২০১৮ কোরিয়ান পিপলস আর্মির ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এক সামরিক প্যারেডে আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। ছবি: রয়টার্স।
পিয়ংইয়ংয়ের কিম ইল সাং স্কয়ারে ২০১৮ কোরিয়ান পিপলস আর্মির ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এক সামরিক প্যারেডে আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। ছবি: রয়টার্স।

উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বহাল রেখেছে। সেগুলো যাতে সামরিক হামলায়ও সুরক্ষিত থাকে, তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে দেশটি। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন কমিটির গোপনীয় প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স দাবি করেছে, জাতিসংঘের ১৫ সদস্যের ওই কমিটির প্রতিবেদন তারা দেখেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনের পরিকল্পিত দ্বিতীয় সম্মেলনের আগে ওই প্রতিবেদনের কথা জানা গেল। এর আগে ২০১৮ সালের জুন মাসে ট্রাম্প ও কিমের প্রথম বৈঠকের পর পুরোপুরি পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা।

ট্রাম্প বলছেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে তাঁদের দারুণ অগ্রগতি হয়েছে। তবে জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে পুরোপুরি উল্টো বিষয়টি দেখা গেছে। ওই প্রতিবেদনে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে বিমানবন্দরসহ বেসামরিক স্থাপনা ব্যবহার করে দূরপাল্লার আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সংযোজন ও পরীক্ষার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ধরনের বেসামরিক স্থাপনা ব্যবহার করে হামলার বিষয়টি এড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি সংযোজন, সংরক্ষণ ও পরীক্ষার এলাকা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে কমিটি।

অবশ্য গত শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের কাছে জমা দেওয়া ৩১৭ পাতার ওই প্রতিবেদন বিষয়ে জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার মিশন কোনো মন্তব্য করেনি।

২০০৬ সাল থেকে উত্তর কোরিয়ার ওপর সর্বজনীনভাবে নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি করে চলেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। দেশটিতে কয়লা, লোহা, তামা, টেক্সটাইল, সামুদ্রিক খাবার রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি দেশটি থেকে অপরিশোধিত ও পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে জাতিসংঘ।