আসামে মদে বিষক্রিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫০

আসামে বিষাক্ত মদ পান করে অসুস্থ হয়ে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একজনের সঙ্গে কথা বলছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। ছবি: সংগৃহীত
আসামে বিষাক্ত মদ পান করে অসুস্থ হয়ে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একজনের সঙ্গে কথা বলছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের আসাম রাজ্যে বিষাক্ত মদ পান করে মৃত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ১৫০ জন হয়েছে। এখনো ২২১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রাজধানী গুয়াহাটি থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে গোলাঘাট জেলার সালমারা চা–বাগানে গত বৃহস্পতিবার রাতে বিষাক্ত মদ পান করার ঘটনায় শুরু হয় মৃত্যুর মিছিল। প্রথম রাতেই ১২ জন মারা যান। গত শুক্রবার রাতে মৃত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৩। গতকাল শনিবার সকাল থেকে মৃত ব্যক্তির সংখ্যা লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে। সর্বশেষ সরকারি হিসাবে মৃত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫০।

মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৯৭ জন গোলাঘাট জেলার। ৫৩ জন যোরহাট জেলার বাসিন্দা।

যোরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও গোলাঘাটি হাসপাতালে অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসা চলছে।

গতকাল রাতে অসুস্থ ব্যক্তিদের দেখতে আসেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হীমন্ত বিশ্বশর্মা।

পুলিশ সূত্র বলছে, সঞ্জু ওরাং নামের স্থানীয় এক মদবিক্রেতার কাছ থেকে ‘জারিকেন’ (চা–শ্রমিকদের কাছে এই নামেই পরিচিত চোলাই মদ) খেয়ে এই বিপত্তি বাধে। মদের বিষক্রিয়ায় সঞ্জু ও তাঁর মা দৌপ্রদীও মারা গেছেন। অন্য যাঁরা মারা গেছেন, তাঁরা সবাই চা–শ্রমিক।

স্থানীয়ভাবে তৈরি করা মদে বিষক্রিয়ার কারণ জানতে পুলিশ নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে দুই লাখ রুপি করে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা দিয়েছেন। অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসার পাশাপাশি ৫০ হাজার রুপি করে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করা হয়েছে।

মদে বিষক্রিয়ার কারণ অনুসন্ধানে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে চোলাইবিরোধী তল্লাশি অভিযান।

পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার পর আসামে অন্তত ১৫ হাজার লিটার চোলাই মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।