পশ্চিমবঙ্গকে বাদ দিয়ে লোকসভা নির্বাচন চায় বিজেপি

দলীয় দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে মুকুল রায়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
দলীয় দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে মুকুল রায়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে গতকাল সোমবার এক অভিনব দাবি তুলেছে বিজেপি। তাদের চাওয়া স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে এই রাজ্যের ভোট পিছিয়ে দেওয়া হোক।

বিজেপি বলেছে, এই রাজ্যে এখন নির্বাচন করার মতো ইতিবাচক পরিস্থিতি নেই। এখানে গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত। মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না। তাই পশ্চিমবঙ্গকে বাদ দিয়ে লোকসভার আসন্ন নির্বাচন করা হোক। পরে নতুন করে এই রাজ্যে ভোট নেওয়া হোক।

এ প্রস্তাব নিয়ে গতকাল রাজ্য নির্বাচন দপ্তরে হাজির হয়েছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়সহ তাদের প্রতিনিধিরা।

ভারতের সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভার ৫৪৩টি আসনের ভোট হবে আগামী এপ্রিল-মে মাসে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে লোকসভার ৪২টি আসন।

গতকাল বিকেলে কলকাতার বিজেপির রাজ্য দপ্তরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুকুল রায় বলেন, ‘এ রাজ্যে গণতন্ত্র হুমকির মুখে। এখানে আমাদের মিছিল করতে দেয় না শাসকদল তৃণমূল। গত রোববার রাজ্যব্যাপী ছিল আমাদের ‘বিজয় সংকল্প যাত্রা’। সেদিন মোটর বাইক যাত্রায় পুলিশ আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে, কর্মীদের মারধর করেছে।’ সেদিন যেসব থানা এলাকায় এসব ঘটনা ঘটেছে সেখানকার থানা কর্মকর্তাদের অবিলম্বে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান মুকুল রায়।

মুকুল রায় অভিযোগ করেন, যেসব পুলিশ কর্মকর্তা একইস্থলে তিন বছর বা এর বেশি দিন ধরে কাজ করছেন তাঁদের নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী সরিয়ে দেওয়া হলেও আবার অন্য দপ্তরে নিয়ে আসা হচ্ছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেওয়া হলেও এবার তাঁকে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ’এ আনা হয়েছে। এই বদলির আড়ালে সাবেক কর্মকর্তাদের ফের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে পুলিশেরই অন্য দপ্তরে। এতে করে সুষ্ঠু নির্বাচন করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তাই মুকুল রায় পশ্চিমবঙ্গকে বাদ দিয়ে লোকসভা নির্বাচন করার দাবি তুলেছেন।

তবে বিজেপি বিরোধীরা বলেছে, বিজেপির নেতৃবৃন্দ এবার বুঝতে পেরেছেন তাঁদের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। তাই তারা নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছে।