থাই ব্যবসায়ী মেয়ের পাত্র খুঁজছেন, দেবেন লাখো ডলার

কার্নসিতা ইংরেজি ও চীনা ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন। কার্নসিতার কোনো প্রেমিক নেই। ছবি: সংগৃহীত
কার্নসিতা ইংরেজি ও চীনা ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন। কার্নসিতার কোনো প্রেমিক নেই। ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের অন্যতম ধনকুবের আরনন রদথং ২৬ বছর বয়সী মেয়েকে বিয়ে দেবেন। আর পাত্র খুঁজতে তিনি অভিনব এক প্রস্তাব রেখেছেন। মেয়েকে কোনো পাত্র বিয়ে করতে রাজি হলেই মিলবে লাখো ডলার।

ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে, আরনন রদথংয়ের বাড়ি চুমফুন প্রদেশে। মেয়ে কার্নসিতার জন্য পাত্র খুঁজছেন। মেয়েকে বিবাহ করতে রাজি হওয়া ছেলেকে তিনি ১০ লাখ থাই বাথ (২ লাখ ৪০ হাজার পাউন্ড) দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মেয়ের নিরাপদ ভবিষ্যতের কথা ভেবেই মেয়ের জামাইকে তিনি ৩ লাখ মার্কিন ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ইংরেজি জানা কার্নসিতার কৃষি খামারের কাজে বাবাকে সাহায্য করেন। তবে পাত্রের যোগ্যতা সম্পর্কে তেমন কিছু চাননি তিনি। শুধু বলেছেন, যে ছেলে মেয়েকে বিয়ে করতে চাইবে, তাকে অবশ্যই পরিশ্রমী হতে হবে। আর তার মেয়েকে সুখে রাখতে হবে।

আরনন রদথং মূল্যবান দুরিয়ান ফলের একটি খামারের মালিক। দক্ষিণাঞ্চলীয় থাইল্যান্ডের চুমফন প্রদেশে তার ফলের বাগান। মেয়ে কার্নসিতা ব্যবসায়ও বাবাকে সহায়তা করেন।

বাবার সঙ্গে কার্নসিতা। ছবি: সংগৃহীত
বাবার সঙ্গে কার্নসিতা। ছবি: সংগৃহীত

আরনন রথদং তাঁর মেয়ের ভবিষ্যৎ জামাইকে সুবিশাল ফলের বাগানের মালিকানাও লিখে দেবেন। তাঁর ফলের বাগানটি থাইল্যান্ডের ওই অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বড়। ফলের বাগানের বাজারমূল্য কয়েক মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড।

২৬ বছর বয়সী কার্নসিতার জন্য পাত্র খুঁজছেন বাবা। মেয়েকে বিবাহ করতে রাজি হওয়া ছেলে পাবেন ১০ লাখ থাই বাথ (২ লাখ ৪০ হাজার পাউন্ড)। ছবি: সংগৃহীত
২৬ বছর বয়সী কার্নসিতার জন্য পাত্র খুঁজছেন বাবা। মেয়েকে বিবাহ করতে রাজি হওয়া ছেলে পাবেন ১০ লাখ থাই বাথ (২ লাখ ৪০ হাজার পাউন্ড)। ছবি: সংগৃহীত

রথদং বলেন, ‘আমি চাই কঠোর পরিশ্রমী কেউ আমার ব্যবসার হাল ধরুক। ব্যবসায়কে আরও সামনের দিকে নিয়ে যাক। যে ছেলে আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চাইবে, আমি মনে করি না তাকে স্নাতক ডিগ্রি, মাস্টার্স ডিগ্রি করা ব্যক্তি হতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি জামাই হিসেবে একজন কঠোর পরিশ্রমী ছেলে চাই। এটাই চাওয়া আর কিছুই না।’

আরনন রদথংয়ের ছেলেসহ আরও সন্তান আছে। কিন্তু তিনি বলেছেন, তার সব সম্পদ কার্নসিতার ভবিষ্যৎ স্বামীকেই তিনি দেবেন। রদথং বলেন, ‘যত শিগগিরই মেয়ের জামাই পাব তত তাড়াতাড়ি তার হাতে আমার সম্পদ তুলে দিতে চাই।’

থাইল্যান্ডের বেশ কিছু এলাকার ঐতিহ্যই আছে যে, বিয়েতে পাত্র পক্ষ কনে পক্ষকে সাধ্যমতো যৌতুক দিয়ে থাকে। রদথং বলেন, তিনি এই প্রথা ভাঙতে ইচ্ছুক।

কার্নসিতা ইংরেজি ও চীনা ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন। কার্নসিতার কখনোই কোনো প্রেমিক ছিল না।

থাইল্যান্ডের অন্যতম ধনকুবের আরনন রদথং। ছবি: সংগৃহীত
থাইল্যান্ডের অন্যতম ধনকুবের আরনন রদথং। ছবি: সংগৃহীত

স্বামী হিসেবে কেমন মানুষকে তিনি চান—এর উত্তরে কার্নসিতা বলছেন, ‘বাবা আমার ভবিষ্যৎ স্বামী খোঁজার ব্যাপারে প্রকাশ্যে যে ঘোষণা দিয়েছেন, সে ব্যাপারে আমি কিছুই জানতাম না। আমার বন্ধুদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে আমি জানতে পারি। বাবার ঘোষণা বিস্মিত করেছে জানিয়ে কার্নসিতা বলেন, কাউকে যদি বিয়ে করতেই হয়, তবে আমি সেই ছেলেকেই বিয়ে করতে চাইব—যিনি হবেন খুবই পরিশ্রমী, ভালো মানুষ এবং সর্বোপরি নিজের পরিবারকে ভালোবাসবে।’ এখন অনেকেই হয়তো তাঁর বাবার অর্থ পকেটে পুরতে চাইবেন বলেও মন্তব্য কার্নসিতার।

কার্নসিতার বর হিসেবে কঠোর পরিশ্রমী ছেলেকেই চান বাবা আরনন রদথং। ছবি: সংগৃহীত
কার্নসিতার বর হিসেবে কঠোর পরিশ্রমী ছেলেকেই চান বাবা আরনন রদথং। ছবি: সংগৃহীত