অযোধ্যা মামলায় মধ্যস্থতা করতে বললেন আদালত

ছবি: এএফপি
ছবি: এএফপি

অযোধ্যা মামলার মধ্যস্থতার পক্ষে মত দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এ জন্য ৮ সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে আলোচনার জন্য তিনজনের প্যানেল ঠিক করে দিয়েছেন আদালত।

অযোধ্যায় রামমন্দিরকে কেন্দ্র করে বিতর্কিত জমি নিয়ে মামলায় মধ্যস্থতার ওই প্যানেলের দায়িত্বে থাকছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস সি খলিফুল্লাহ, ধর্মীয় গুরু শ্রীশ্রী রবিশঙ্কর, শ্রীরাম পাঁচু। ফৈজাবাদের মামলাকারীদের সব পক্ষের সঙ্গে ৮ সপ্তাহে আলোচনার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে৷ এক মাসের মধ্যে প্রথম প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে অযোধ্যা মামলার শুনানি হয়৷ গোটা বিষয়ই ক্যামেরাবন্দীও করা হয়৷

আদালত বলেছেন, এটি শুধু ১৫০০ বর্গফুট জমি–সংক্রান্ত সমস্যা নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সাধারণ মানুষের আবেগ। এটি মস্তিস্ক ও হৃদয়ের বিষয়।

আদালত বলেছেন, কমিটির কাজ গোপন থাকবে। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সদস্যরা কথা বলতে পারবেন না।

অযোধ্যার বিতর্কিত জমি নিয়ে ছয় দশক ধরে মামলা চলছে আদালতে। আগে একবার পিছিয়ে যাওয়ার পর আবার মামলার শুনানি শুরু হচ্ছে।

অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধূলিসাৎ হয় ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর। আরএসএস ও বিজেপি একযোগে সেই আন্দোলন শুরু করেছিল। লালকৃষ্ণ আদভানি গোটা দেশে ‘রথযাত্রা’ বের করেছিলেন। মসজিদ ভেঙে মন্দির তৈরির আন্দোলনে প্রাণ গেছে বহু মানুষের। বিজেপি ও আরএসএস চায় অযোধ্যায় সাধারণ নির্বাচনের আগে রামমন্দির গড়ার কাজে হাত দিতে। কিন্তু তার আগে জমির মালিকানা চূড়ান্ত হওয়া প্রয়োজন। সুপ্রিম কোর্টের বিবেচ্য সেটাই। ভোটের আগে সুপ্রিম কোর্টের রায় না এলে প্রয়োজনে অরডিন্যান্স জারির কথা ভাবা হচ্ছে।