বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে মেডিকেল হাব গড়তে চাইছে ত্রিপুরা

ভারতের ত্রিপুরার স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায়বর্মন। ছবি: প্রথম আলো
ভারতের ত্রিপুরার স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায়বর্মন। ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশের সাতটি জেলাকে মাথায় রেখে ভারতের ত্রিপুরা সরকার রাজ্যে গড়ে তুলতে চাইছে মেডিকেল হাব। তাদের আশা, ঠিকমতো পরিকাঠামো গড়ে তুলতে পারলে বাংলাদেশের জেলাগুলোর মানুষ চিকিৎসার জন্য কলকাতা বা চেন্নাইয়ের বদলে ত্রিপুরাকেই বেছে নেবেন।

ত্রিপুরায় বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের এক বছর পূর্ণ হলো আজ শুক্রবার। এই এক বছরে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নকেই বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে রাজ্য সরকার। তিন দিক থেকে বাংলাদেশ দিয়ে বেষ্টিত ত্রিপুরা রাজ্য এখন মেডিকেল ট্যুরিজম বাড়াতে চাইছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায়বর্মণ প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘দীর্ঘ বাম শাসনে ত্রিপুরার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সবচেয়ে বেশি অবহেলিত ছিল। রাজ্যের মানুষকে তাই বাইরে চিকিৎসার জন্য যেতে হয়।’

তবে গত এক বছরে ত্রিপুরায় স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। এখন ত্রিপুরাতে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা বিনা পয়সায় হয়। শুধু তা-ই নয়, চলতি মাসেই শুরু হয়েছে নিউরো সার্জারি। বেশ কয়েকটি জটিল অস্ত্রোপচারও হয়েছে ত্রিপুরায়। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দাবি, চলতি বছরেই ত্রিপুরায় হৃদরোগের শল্যচিকিৎসাও চালু হবে। এর জন্য পরিকাঠামো উন্নয়নে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ত্রিপুরায় চালু হয়েছে আয়ুর্বেদ গবেষণ কেন্দ্রও। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলাদেশি রোগীদের কথা চিন্তা করেই মেডিকেল ট্যুরিজমের চিন্তা করছে রাজ্য সরকার। এখন বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে সুপার স্পেশালিটি চিকিৎসা পরিকাঠামো নির্মাণে উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি দিল্লির এইমসের সরকারি প্রতিষ্ঠানও গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় একটি সরকারি ও একটি আধা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে। রয়েছে একটি বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালও। প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, সিলেট, ফেনী প্রভৃতি জেলা থেকে প্রচুর মানুষ ত্রিপুরা হয়ে বিমানে বা রেলে কলকাতা বা চেন্নাই যাতায়াত করেন। ত্রিপুরার সরকার চাইছে তাঁদের বাংলাভাষী রাজ্যটিতেই চিকিৎসার পরিকাঠামো গড়ে তুলতে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশা, চলতি বছরেই বাংলাদেশিদের জন্যও সুখবর নিয়ে আসতে পারবেন তিনি।