শরিকি বিবাদ মিটিয়ে আসামে চাঙা বিজেপি

আগরতলায় বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব। ছবি: সংগৃহীত
আগরতলায় বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের আসাম রাজ্যে শরিকি বিবাদ মেটাতে পেরেছে বিজেপি। বিক্ষুব্ধ শরিক অসম গণপরিষদের (অগপ) সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে ফের সমঝোতায় পৌঁছাল বিজেপি। আসামের শরিকি কাজিয়া মেটানোর পর আজ বুধবার ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় এসেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব।

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের মাধ্যমে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অমুসলিম সম্প্রদায়কে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রচেষ্টার প্রতিবাদে আসামে বিজেপি জোট ও মন্ত্রিত্ব ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল অগপ। তবে গতকাল গুয়াহাটিতে মাঝরাতের বৈঠকের পর ফের একসঙ্গে পথ চলা শুরু করার কথা জানালেন দুই দলের নেতারা।

৬৩ দিন পর অগপ আবারও রাজ্য মন্ত্রিসভায় যোগ দেবে বলে জানা গেছে। তাঁদের তিন মন্ত্রীই ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন। শোনা যাচ্ছে, দলের শীর্ষ নেতা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লকুমার মহন্ত মিজোরামের রাজ্যপাল হচ্ছেন।

আসন–সমঝোতা অনুযায়ী আসামের ১৪টি আসনের মধ্যে ১০টিতে লড়বে বিজেপি। ৩টিতে অগপ। অপর আসনটি পাবে আরেক আঞ্চলিক দল বিপিএফ।

বৈঠক শেষে রাম মাধব নিজেই টুইটবার্তায় অগপের সঙ্গে সমঝোতার কথা ঘোষণা করেন।

বিজেপির নেতৃত্বাধীন উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় গণতান্ত্রিক জোটের (নেডা) নেতা আসামের অর্থমন্ত্রী হীমন্ত বিশ্বশর্মার দাবি, তাঁদের সব শরিক দলই একসঙ্গে লড়বে। ২৫টির মধ্যে ২২টি আসন পাবেন বলেও দাবি করেন হীমন্ত।

শুধু জোটের জটিলতাই নয়, কংগ্রেস শিবিরেও বড় ভাঙন ধরাতে সক্ষম হয়েছেন বিজেপি নেতারা। সাবেক মন্ত্রী বরাক উপত্যকার হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা গৌতম রায় এদিন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

আসামে দলকে চাঙা করে আজ সকালে আগরতলায় এসে পৌঁছান রাম মাধব। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান বিজেপির রাজ্য সম্পাদক রাজীব ভট্টাচার্য ও প্রতিমা ভৌমিক।

রাম মাধব এদিন দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি ত্রিপুরার জোট শরিক আইপিএফটি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন দলের মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য।

ত্রিপুরায় দুটি আসনের মধ্যে একটিও না পেলে আইপিএফটি একাই দুটি আসনে লড়ার হুমকি দিয়েছে। দলের সহকারী সাধারণ সম্পাদক গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা ঘোষণা করেন।

বিজেপির ত্রিপুরা শাখার সভাপতি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব অবশ্য আশা প্রকাশ করেন, আলোচনার মাধ্যমেই বিষয়টি মিটিয়ে নিতে সক্ষম হবেন রাম মাধব। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, দুটি আসনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দিতে চায় বিজেপি।

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হবে আগামী ১১ এপ্রিল। এরপর আরও ছয় ধাপে এপ্রিল ও মে মাসজুড়ে হবে এবারের নির্বাচন। মোট সাত ধাপে নির্বাচন হওয়ার পর আগামী ২৩ মে ভোটের ফল ঘোষণা করা হবে।