উত্তর-পূর্ব ভারতে বিজেপির জোট জটিলতা

ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বিজেপির বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ও অন্যদের সঙ্গে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রামমাধব। ছবি: প্রথম আলো
ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বিজেপির বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ও অন্যদের সঙ্গে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রামমাধব। ছবি: প্রথম আলো

উত্তর-পূর্ব ভারতে জোট নিয়ে বিজেপির জটিলতা এখনো কাটছে না। আসামে অসম গণপরিষদের (অগপ) সঙ্গে সমঝোতা হলেও ত্রিপুরায় এখনো ঝুলে রয়েছে শরিক দল আইপিএফটির সঙ্গে সমঝোতার বিষয়টি। আসামে অগপ জোট করলেও দলের ভেতরে ক্ষোভ স্পষ্ট।

উত্তর-পূর্ব ভারতে লোকসভার ২৫টি আসনকে বিজেপি এবার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রামমাধবের আশা, বিজেপি বা তাঁদের বন্ধু দলগুলো এই এলাকা থেকে অন্তত ২২টি আসন পাবে।

কিন্তু উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আঞ্চলিক দলগুলো বেশ শক্তিশালী। কিন্তু তাদের সঙ্গে আনতে হিমশিম খাচ্ছেন বিজেপির নেতারা। মেঘালয়ে এনপিপির প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী কনার্ড সাংমা জানিয়েছেন, তাঁরা দুটি আসনেই লড়বেন।

ত্রিপুরার দুটি আসনেই নিজেরা লড়তে চায় বিজেপি। বুধবার রামমাধব শরিক দল আইপিএফটি নেতাদের দলের এই মনোভাব বুঝিয়ে দেন।

বিজেপির রাজ্য সম্পাদক রাজীব ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে জানান, আইপিএফটি নেতারা দু-এক দিনের মধ্যেই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে তাঁদের সিদ্ধান্ত জানাবেন। তবে বিজেপি দুটি আসনেই লড়বে বলে দাবি করেন তিনি।

আসামের ১৪টি আসনের মধ্যে মঙ্গলবার রাতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিজেপি ১০টিতে এবং অগপ ৩টিতে লড়বে। অপর আসনটি ছাড়া হয়েছে জোটের আরেক শরিক বিপিএফকে।
লোকসভা ভোটের আসন সমঝোতা হতেই অগপ রাজ্য মন্ত্রিসভাতেও ফিরে এসেছে। প্রসঙ্গত, ৬৩ দিন আগে নাগরিকত্ব সংশোধনীর প্রতিবাদে বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছিল অগপ।
কিন্তু অগপ ফের বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা করায় দলের মধ্যকার বিরোধ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। অগপর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তথা সাবেক মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লকুমার মহন্ত প্রকাশ্যে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
দলের আরেক নেতা তথা আসামের বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী লাচিত ফুকন অগপ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। বিভিন্ন গণসংগঠনও অগপের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে।
অন্যদিকে, কংগ্রেস পরিস্থিতির ফায়দা নিতে মাঠে নেমে পড়েছে। আসামের কংগ্রেস নেতা রিপুন বরা এদিন মন্তব্য করেন, অগপ আসলে অসমীয়াদের স্বার্থবিরোধী।