ভারতে চাহিদা বেড়েছে মোদি-মমতা শাড়ির

ভারতে এবারের নির্বাচনে ঝড় তুলেছে মমতা আর মোদির ছবি এবং প্রতীক নিয়ে তৈরি শাড়ি। নিউমার্কেট, কলকাতা, ৩১ মার্চ। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
ভারতে এবারের নির্বাচনে ঝড় তুলেছে মমতা আর মোদির ছবি এবং প্রতীক নিয়ে তৈরি শাড়ি। নিউমার্কেট, কলকাতা, ৩১ মার্চ। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের কড়া নাড়ছে। ৫৪৩ আসনের লোকসভার ৪২ আসন পশ্চিমবঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গের ভোটারদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতীক আর নেতা-নেত্রীদের মুখমণ্ডলকে ফুটিয়ে তুলে বাজারে ছেড়েছে নানা পণ্য। রয়েছে শাড়ি, গেঞ্জি, টি-শার্ট, উত্তরীয়সহ অনেক কিছুই। এসব প্রতীকের পণ্যের তালিকায় এগিয়ে আছে দুটি রাজনৈতিক দলের প্রতীক—তৃণমূলের ঘাসফুল আর বিজেপির পদ্মফুল।

এর আগে অবশ্য জোড়াফুল বা ঘাসফুল আর পদ্মফুল নিয়ে বেরিয়েছে টি-শার্ট, উত্তরীয়, বুকের ব্যাজ এবং শাড়িও। বের হয়েছে কংগ্রেসের হাত প্রতীক আর বাম দলের কাস্তে-হাতুড়ি প্রতীক নিয়েও। ব্যবসায়ীরা এখন চাহিদা বুঝে বের করছেন বিভিন্ন দলের প্রতীকের নানা পণ্যসামগ্রী। তবে এগিয়ে আছে ঘাসফুল। এরপর পদ্মফুল, কাস্তে-হাতুড়ি, সিংহ এবং হাত প্রতীক।

সবকিছু ছাপিয়ে এবার নির্বাচনের বাজারে ঝড় তুলেছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি এবং প্রতীক নিয়ে তৈরি শাড়ি। ইতিমধ্যে এই শাড়ি মিলছে কলকাতার নিউমার্কেটে। সবাই দেখছেন এই শাড়ি। কিনছেনও। এগিয়ে আছে মমতার ঘাসফুল আর প্রতীকসহ তাঁর মুখমণ্ডলের ছবি দিয়ে তৈরি শাড়ি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপির পদ্মফুল এবং মোদির মুখাবয়ব দিয়ে তৈরি শাড়িও।

নিউমার্কেটের এক ব্যবসায়ী বললেন, তাঁর দোকানে মোদি-মমতার শাড়ি কিনতে ভিড় জমছে। অনেকে অর্ডার দিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর দোকানে আপাতত ২০০ পিস করে মমতা ও মোদির শাড়ি আছে। ইতিমধ্যে অধিকাংশ শাড়ি বিক্রিও হয়ে গেছে। অনেকে আবার অর্ডার দিয়ে যাচ্ছেন কী ধরনের প্রতীক ও নেতা-নেত্রীর ছবির শাড়ি তাঁরা চাচ্ছেন।

মমতা-মোদির শাড়ি আছে বিভিন্ন দামে। তাঁতিরা সেভাবেই তৈরিও করছেন শাড়ি। কোনোটি তৈরি হচ্ছে আর্ট সিল্ক, কোনটি ক্রেপ আবার কোনটি চান্দেরি ও সুতিতেও তৈরি হচ্ছে। শাড়িতে পদ্মফুল, ঘাসফুল, কাস্তে-হাতুড়ি ও হাত প্রতীক আছে। আবার কোনোটিতে মমতার ছবি, কোনোটিতে মোদির ছবি, কোনোটিতে আবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ছবি।

শাড়ির সুতা এবং কাজের ওপর নির্ভর করে দাম নির্ধারণ করছেন তাঁতি ও দোকানমালিকেরা। প্রতিটি শাড়ির সঙ্গে রয়েছে ব্লাউজ পিসও। শাড়ির দামও রাখা হয়েছে সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে। সুতির শাড়ির ওপরও ডিজাইন করা হয়েছে ঘাসফুল, পদ্মফুল, কাস্তে-হাতুড়ি ও হাত প্রতীক। ক্রেপের ওপর ডিজাইন করা শাড়ির দাম শুরু করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ রুপি থেকে। আর্ট সিল্ক শুরু ১ হাজার রুপি থেকে। চান্দেরি ৯০০ রুপি থেকে আর সুতির শাড়ির দাম শুরু ৫৭০ রুপি থেকে।